এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বছরের শেষেই ৩০ কোটি ডোজ আসছে বাজারে! অনেক বেশি অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতাযুক্ত নতুন ভ্যাক্সিন?

বছরের শেষেই ৩০ কোটি ডোজ আসছে বাজারে! অনেক বেশি অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতাযুক্ত নতুন ভ্যাক্সিন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি সারা বিশ্ব জুড়ে ৩০ রকমের টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। এদের মধ্যে অনেকেই শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে পৌঁছে গেছে। এদের থেকে অনেকটাই আশার আলো দেখছেন বিশ্ববাসী। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকা ভ্যাকসিন, আমেরিকার ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিন, মোডার্না ও চিনের ক্যানসিনো বায়োটেক ভ্যাকসিন ও সিনোফার্মার ভ্যাকসিন।

রাশিয়া ইতিমধ্যেই স্পুটনিক ভি টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে পৌঁছে গেছেন। ফাইজার ও মোডার্নার টিকারও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তবে এরই সঙ্গে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকাও ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে বলে গবেষকরা দাবি করেছেন। এই টিকাটিরও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে বলে জানা গেছে।

তবে এর মধ্যে প্যারিসের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সানোফি সামনের মাস থেকেই তাদের টিকার দুই পর্বের ট্রায়াল শুরু করবে বলে জানা গেছে। আপাতত তারা ব্রিটেনের গ্ল্যাক্সো-স্মিথ কাইন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও আমেরিকার ট্রান্সলেট বায়োটেকনোলজি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে যদি তাদের কাজে আশানুরুপ ফল পাওয়া যায় তবে চলচি বছরের শেষেই টিকার প্রায় ৩০ কোটি ডোজ বিশ্বের বাজারে নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন তারা।

টিকা প্রস্তুতকারক এই সংস্থার কথা অনুযায়ী আরএনএ সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করেছে তারা। এতে এক বিশেষ ধরনের ‘অ্যাডজুভেন্ট’ রয়েছে যা ইমিউন বুস্টার হিসেবে কাজ করে মানুষের শরীরে। তাই অ্যাডজুভেন্টকে বলা হয় ইমিউনিলোজিক্যাল এজেন্ট। অর্থাৎ এটি এমন একটি উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভ্যাকসিন তৈরির সময় নিষ্ক্রিয় ভাইরাল স্ট্রেনের সঙ্গে এই উপাদান মিশিয়ে দিলে রক্তে অ্যান্টিবডি বেশি তৈরি হবে বলেই দাবি ওই গবেষকদের। তাঁরা আরও বলেছেন যে এই উপাদান বি-কোষকে সক্রিয় করে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে এর সঙ্গে সঙ্গে টি-কোষকেও কার্যকর করে তুলতে সাহায্য করবে। ফলে ভাইরাস বা সংক্রামনের থেকে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা পাওয়া যাবে।

RNA সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে এই টিকা তৈরি করেছে সানোফি। তবে প্যারিসের ভাইরোলজিস্টের দাবি অনুসারে, এই টিকায় এমন উপাদান রয়েছে যা শরীরে অনেক বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করবে। তাদের কথা অনুযায়ী, অন্যান্য টিকার থেকে ৭০ শতাংশ বেশি কার্যকরী হবে এই ভ্যাকসিন। এই সংস্থার আরও দাবি যে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল দেখে এই বছরের মধ্যেই তাই প্রথম দফায় ৩০ কোটি ডোজ বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করছে তারা। তবে ইউরোপীয় দেশগুলির ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে এই বিষয়ে কথাবার্তা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!