এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বদলে যাওয়া আবহে এবারের ২১ শে জুলাই! অগ্নিকন্যাকে খুঁজে যাচ্ছে অচেনা মঞ্চ-ভিড়হীন ধর্মতলা!

বদলে যাওয়া আবহে এবারের ২১ শে জুলাই! অগ্নিকন্যাকে খুঁজে যাচ্ছে অচেনা মঞ্চ-ভিড়হীন ধর্মতলা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টএকুশে জুলাই তৃণমূল শিবির এর কাছে একটি উল্লেখযোগ্য দিন। এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করেন তাঁরা। এতদিন পর্যন্ত প্রত্যেক বছর একুশে জুলাই দিনটিকে মহা কলেবরে ধর্মতলা চত্বরে পালন করা হতো তৃণমূলের পক্ষ থেকে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমাতো ধর্মতলা এলাকায়। রাজ্যের প্রতিটি জায়গা থেকে বিভিন্ন পরিবহণের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ চলে আসত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনবে বলে। বৃষ্টি বাদল কোনকিছুই এতদিন পর্যন্ত এই সভাকে ভন্ডুল করতে পারেনি।

কিন্তু এবছর দেশ তথা রাজ্য জুড়ে ছবিটা পুরো অন্যরকম। বছরের প্রায় শুরু থেকেই রাজ্যজুড়ে হানা দিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। সেই পরিস্থিতি সামলাতে বর্তমানে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন তথা শাসকদল তৃণমূল। তার মধ্যেই এবার ভার্চুয়ালি একুশে জুলাই পালন হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু কলকাতার মানুষরা তথা রাজ্যের মানুষ আজকে একুশে জুলাই এর স্মৃতি মন্থনেই ব্যস্ত। এতদিন পর্যন্ত একুশে জুলাই এর দিনে কলকাতায় যাবার জন্য হাওড়া শিয়ালদায় থাকে ঠাসা ভিড়।

ধর্মতলার মোড়ে দেখা যেত বিশাল মঞ্চ। একপাশে সাংবাদিকদের জন্য আলাদা মঞ্চ, অন্যদিকে একুশে জুলাই এর মূল মঞ্চের পাশেই আরও একটি ছোট মঞ্চ। কিন্তু এবার কোথায় মঞ্চ! কোথায় সেই ঠাসা ভিড়! আর কোথায়ই বা তৃণমূল নেত্রীর আগুন ঝড়ানো বক্তৃতা! করোনার জেরে পুরো এলাকা পরিষ্কার। একুশে জুলাই ধর্মতলা এলাকা পুলিশে পুলিশে থাকত ছয়লাপ। ঠিক এর সাথেই বেশ কিছু মানুষ তাঁদের জীবিকাকে আরো একটু বাড়িয়ে নিতে পারত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেউ বসত চশমা-সানগ্লাস নিয়ে, কেউ বসত খাবার দাবার নিয়ে, কেউ আবার তৃণমূল দলীয় চিহ্ন বিশিষ্ট বিভিন্ন জিনিস নিয়ে। কিন্তু এবার ধর্মতলা এলাকায় শুধুই কয়েকটি ছোট ছোট দোকান- যেখানে বিক্রি হচ্ছে মাস্ক, স্যানিটাইজার। একুশে জুলাই এর আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যেত এলাকা জুড়ে পুলিশি টহল। জায়গায় জায়গায় ভিড় শুরু হয়ে যেত। কিন্তু সোমবার অর্থাৎ 20 শে জুলাই ধর্মতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যাচ্ছে, সরকারি-বেসরকারি বাস বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটে চলেছে।

তবে প্রত্যেকেই এই অসময়ে লড়াইয়ের পাশাপাশি খুঁজে চলেছে বিগত বছরের একুশে জুলাই এর স্মৃতির ভান্ডার। পুলিশকর্মী থেকে সাধারণ পথচারী, ফুটপাতের ধারে দোকানিরা প্রত্যেকেই হাতরে চলেছেন স্মৃতি। প্রতিবছর একুশে জুলাইতে ফুটপাতের দোকানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হতো নিরাপত্তার খাতিরে। কিন্তু এবার কেউ কোথাও নেই। অনেকের মতেই ধর্মতলা এবং একুশে জুলাই কালের নিয়ম মেনে সমার্থক হয়ে উঠেছে। তবে প্রত্যেকেরই মনের আশা আবার করোনামুক্ত হয়ে উঠবে আমাদের রাজ্য, আমাদের দেশ। আর ঠিক তখনই আবারও দেখা যাবে পুরনো ছবি।

অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একুশে জুলাই এর সমাবেশ ধর্মতলা চত্বরে না করা গেলেও দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে পাড়ায় পাড়ায় শহীদ দিবস উদযাপন করা চলছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে এবার একুশে জুলাই এর সমাবেশে তাঁর বক্তব্য তিনি ভার্চুয়ালি রাজ্যবাসীর সামনে পেশ করবেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের একুশে জুলাই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ হতে চলেছিল তৃণমূল শিবিরের কাছে। কিন্তু বাধা দিল করোনা। আপাতত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে একুশে জুলাই এর ভার্চুয়াল সভাকে মাথায় রেখে তৃণমূল নেত্রী কি বক্তব্য রাখেন, সে দিকেই এখন নজর রাখবে সারা রাজ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!