এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বহিরাগত ইস্যুতে আরও চাপ বাড়ল মমতার? প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ তুলে দলীয় বিধায়ক বাড়ালেন চাপ?

বহিরাগত ইস্যুতে আরও চাপ বাড়ল মমতার? প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ তুলে দলীয় বিধায়ক বাড়ালেন চাপ?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির পক্ষ থেকে যখন অন্য রাজ্যের পাঁচ নেতাকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন থেকেই প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপি বাংলা দখল করতে বহিরাগত নেতাদের আনতে শুরু করেছে। অর্থাৎ বহিরাগত ইস্যু নিয়ে রীতিমত শোরগোল তৈরি হয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

তবে এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির পর্যবেক্ষকদের বহিরাগত বলে দাবি করা হলেও, এই বহিরাগত ইস্যুতে শাসকদলেরই বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। যেখানে “বহিরাগত” ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর স্বপক্ষে আওয়াজ তুলতে দেখা যায় এই তৃণমূল বিধায়ককে। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস যে ব্যাপক চাপে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বালি বিধানসভার একাধিক জায়গায় বৈশালী ডালমিয়াকে উদ্দেশ্য করে বেশ কিছু পোস্টার পড়তে দেখা যায়। যেখানে লেখা রয়েছে, “বালির সক্রিয় তৃণমূল কর্মীদের মাননীয় দিদির কাছে অনুরোধ, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বালিতে কোনো বহিরাগত নয়, বালির মানুষকে দলের প্রার্থী হিসেবে চাই।” অর্থাৎ এক্ষেত্রে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ যে বর্তমান বিধায়ককে ইঙ্গিত করেই বহিরাগত বলতে শুরু করেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলের কাছে। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার এই ব্যাপারে মুখ খোলেন তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া।

যেখানে তিনি বলেন, “আমি বহিরাগত নই। বালিতে আমার নিজের নামে বাড়ি রয়েছে। যারা পোস্টার লাগিয়েছেন, তারাই প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এলে তাকে বহিরাগত বলেন। এই সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত।” আর এখানেই একাংশ বলছেন, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিজেপির অনেক সর্বভারতীয় নেতার বাংলায় আগমন ঘটে তাদের “বহিরাগত” বলে কটাক্ষ করা হয়।

কিন্তু বৈশালী ডালমিয়া এদিন প্রধানমন্ত্রীর স্বপক্ষে কথা বলে যেভাবে দলের বিড়ম্বনা বানিয়ে দিলেন, তাতে কি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের দিকেই ইঙ্গিত করলেন! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক বিধায়ক প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন। তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, দলে শৃঙ্খলা নেই। আর বৈশালী ডালমিয়া বহিরাগত ইস্যুতে মুখ খুলে বিজেপির হাতে নতুন হাতিয়ার তুলে দিলেন বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী তথা অন্যান্য বিজেপি নেতাদের বহিরাগত বলে দাবি করা হয়, সেখানে এই তৃণমূল বিধায়কের এই ধরনের বক্তব্য শাসকদলের অস্বস্তিকে বৃদ্ধি করল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই প্রশ্ন, বৈশালী ডালমিয়া এই কথা বলে কি ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন? তাহলে কি তিনি ধীরে ধীরে বিজেপির ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছেন! আর তাই শাসক দলের একাংশ তাকে “বহিরাগত” বলে প্রার্থী বদল করার কথা বলার সাথে সাথেই এই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীকেও “বহিরাগত” বলা হয় বলে নিজের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন এই তৃনমূল বিধায়ক!

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করেছে। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে শীলভদ্র দত্ত, সকলেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছেন। আর তার মাঝেই বৈশালী ডালমিয়ার এই ধরনের বক্তব্য বিজেপিকে যেমন অক্সিজেন যোগাতে শুরু করবে, ঠিক তেমনই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!