গুরুতর অভিযোগ উঠতেই বহিষ্কার করা হল তৃণমূলের নেতাকে, শুরু কি শুদ্ধিকরণ? উঠছে প্রশ্ন! রাজ্য June 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে রাজ্য তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল নেতাকর্মীদের দৌরাত্ম্য ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছিল বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তার পরেও সেই সমস্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দূর অস্ত, মানুষের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি ভালো করতেও সেই সমস্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। উল্টে তাদেরকে মুখে সতর্ক করেই দায় সেরেছে রাজ্যের শাসক দল। যার ফলে রাজ্যে আইনের শাসন সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত বলে অভিযোগ তুলে ময়দানে নামতে সক্ষম হয়েছে বিরোধীরা। তবে সম্প্রতি ভয়াবহ দুর্যোগের দুর্নীতির ঘটনা থেকে শুরু করে নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে তৃণমূলের কোন নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর এবার সেরকমই এক ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে দ্বিতীয় বর্ষের কলেজের এক ছাত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে ছাদে উঠে গিয়েছিলেন। রাতে সেখানে মাদুর পেতে শুয়ে পড়েন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে বাড়ির পাশের সুপারি গাছ বেয়ে ছাদে কুশ বেরা এবং আরও একজন উঠে এসে সেই তরুণীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে নিজের সম্মান বাঁচাতে সেই তরুণী চিৎকার করলে তার মা নীচ থেকে ছুটে আসে। আর তখনই তরুনীর মাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরপরই তারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। এদিকে ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া মাত্রই সেই মহিলাকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আর এই ঘটনার পর থেকেই প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হতে দেখা যাচ্ছিল স্থানীয়দের। অবশেষে এই ব্যাপারে তৃণমূল নেতা জড়িত থাকার কারণে তাকে বহিস্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এদিন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী তথা তৃণমূল নেতা কুশ বেরাকে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর এতেই এখন তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেরই বক্তব্য, বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দলের কর্মীদের দুর্নীতি থেকে অপরাধ ঢাকতে এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে খুব একটা সহজ হবে, এমনটা নয়। একদিকে বিরোধীদের উত্থান এবং অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির পক্ষ থেকে ক্রমাগত তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সহ নানা অপরাধমূলক ঘটনার কথা তুলে আনা। যার ফলে নতুন ভাবে প্রতিনিয়ত চাপে পড়তে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলকে। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের রাজনৈতিক রননীতিকার প্রশান্ত কিশোর দলকে বার্তা দিয়েছেন, স্বচ্ছ মুখকে সামনে আনার জন্য। সেদিক থেকে তৃণমূলের যারা বর্তমান নিচুতলার নেতাকর্মী আছেন, তারা অনেকেই অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। যার ফলে অস্বস্তি বাড়ছে। তাই প্রশান্ত কিশোরের কথামত এখন সেই সমস্ত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে থাকতে গেলে এখন তাদের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার ওপরেই সব থেকে বেশি জোর দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তারই অঙ্গ হিসেবে এবার কোনো অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল তৃণমূলের অন্দরে। তবে বিরোধীদের অবশ্য বক্তব্য, এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। তৃণমূল নিজেরাই বহিষ্কার করে। আবার নিজেরাই তাদের কর্মীদের সম্পদ ভেবে ফিরিয়ে নেয়। ফলে এই সমস্ত কিছু করে মানুষের কাছে তৃণমূল তাদের ভাবমূর্তি ভালো করতে পারবে না। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখন কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পর দলের নেতাদের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটানোর প্রবণতা কমে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -