এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একাধিক অনিয়ম সহ দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা, উঠছে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ!

একাধিক অনিয়ম সহ দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা, উঠছে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই রয়েছে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। আগামী নির্বাচনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। নির্বাচনের পূর্বে দলের শুদ্ধিকরণের জন্য তৎপর তৃণমূল। একারণেই আর্থিক দুর্নীতির সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কারের কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তৃণমূল। হুগলি জেলাতে একাধিক তৃণমূল নেতার নামে নানা অভিযোগ রাজ্য নেতৃত্তের কাছে এসে পৌঁছেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে দল। অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কারের মতো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে করছে দল।

সম্প্রতি হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়ার জনৈক তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীল বাঁশবেড়িয়ার পুরপ্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী। তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীলের নামে একাধিক অনিয়ম সহ দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ এসেছে। যদিও, তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীলের দাবি, দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। দলের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে যে, হুগলি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ জনেরও বেশি নেতার নামে দুর্নীতি, দল বিরোধী কাজকর্ম ও একাধিক অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়া, চুঁচুড়া, জাঙ্গিপাড়া, পুড়শুড়া, আরামবাগ, শ্রীরামপুর, খানাকুল সহ বিভিন্ন এলাকার এই নেতাদের নামে নানা অভিযোগ এসে পৌঁছেছে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন স্থানীয় নেতারা নিজেদের দলীয় ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নানারকম আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত আছেন। অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের চাপে পরেই অনেকসময় ঠিকাদাররা যোগ দিতে চাইছেন না সরকারি কাজের টেন্ডারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে রাজ্য নেতৃত্ব। বিধানসভা ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি যেন কোনভাবেই কলঙ্কিত না হয়, সে ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ দলের। আর অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হলেই দ্রুত দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে, রাজ্যস্তরের জনৈক তৃণমূল নেতা জানালেন যে, এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন নেতার কাজে দলের বিশ্বাসযোগ্যতা যদি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়, তাহলে দল তাঁকে কোনমতেই প্রশ্রয় দেবে না।

দল থেকে বহিস্কৃত নেতা সত্যরঞ্জন শীল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দল। তিনি জেলা সভাপতির কাছে দলের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবেন। তবে, এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের অভিমত, তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনি শুধু ঘোষণা করেছেন। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে হলে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেই তা জানাতে হবে। এভাবে হুগলি জেলায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হল দলের অন্দরে গুঞ্জন। এই নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে কিনা? এই প্রশ্ন সকলের মুখে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!