এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বহিস্কৃত হয়ে কি বললেন তৃণমূল নেতা? জেনে নিন

বহিস্কৃত হয়ে কি বললেন তৃণমূল নেতা? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজনীতির রণাঙ্গনে তৃণমূলের ঘরে চলছে দল বদলের পালা। সেখানে সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের সম্পাদক কণিষ্ক পান্ডাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিছুদিন ধরেই সেখানে দলের বিরুদ্ধে তাঁর নানান মন্তব্য করা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।

সেখানে তাঁর মুখে “রং পরিবর্তন শিখেছি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছ থেকে” এমন কথা থেকে শুরু করে “জোড়াফুল থেকে আগামীদিনে কোন ফুলে যাবেন তিনি?” এমন অনেক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল। সেইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ফিরহাদ হাকিম,দোলা সেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা দলবিরোধী কাজ করছেন। আবার মেদিনীপুর থেকেই আগামীদিনে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।

তবে এমন মন্তব্যের পর দল যে তাঁকে রাখবে না, সেটা বলাই বাহুল্য। এমন পরিস্থিতিতে কি বললেন তিনি? জানা গেছে, বহিষ্কারের কথা শুনে তিনি বলেছেন, “মুক্তির স্বাদ পেলাম! নিজেই দল ছেড়ে দেবার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। চিঠি তৈরি করে ফেলেছিলাম। দলে অনৈতিক কাজ হচ্ছিল। তার প্রতিবাদ করেছিলাম। আজ আমি শান্তি পেলাম।”

আর এক্ষেত্রে অনেক বিশেষজ্ঞের মতেই, বহিষ্কারের জন্যই তিনি দল বিরোধী কাজ করেছেন। তিনি সম্ভবত মনে মনে চাইছিলেন যে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হোক। কিছুদিন আগে সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সঙ্গে সঙ্গে গেরুয়া রঙে সাজানো অফিস ঘরে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি টাঙিয়ে নতুন কার্যালয় খোলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সম্ভবত এরপরই দল তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও এই বিষয়ে আসল জল্পনার শুরু হয় শিশির অধিকারীর কথায়। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেছেন এটা একটা সামান্য ঘটনা। আর সেই উত্তর শুনে জেলা সভাপতির এমন বক্তব্যে দল যে চাপে পড়েছে, সেটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এখানেই বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন অধিকারী পরিবার কার্যত তাঁদের সঙ্গে আর নেই। তার কারণ জেলা সভাপতি হিসেবে এতদিন ধরে শুভেন্দু অনুগামীরা যে সমস্ত কর্মকান্ড চালিয়ে গেছেন, তাতে তাঁদের এর প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। সেখানে জল্পনা আরো বাড়িয়ে গত সপ্তাহে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশে অধিকারী পরিবারের কাউকে উপস্থিত থাকতেও দেখা যায়নি।

তাই এই ঘটনা থেকেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, কনিষ্ক পান্ডা যেভাবে স্বয়ং দলনেত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, বা গেরুয়া রং এর ঘরে আলাদা কার্যালয় খুলেছেন, সেটা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই হয়েছে। তাই সেটা থেকে এটা ধারণা করে নেওয়াই যায় যে মেদিনীপুরের সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে ‘দাদার অনুগামীরা’ যা করেছে, তাতে শুভেন্দু অধিকারীর পুরোপুরি সমর্থন ছিল।

আর এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আরো অনুমান যে, যেখানে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে আগেই পূর্ব মেদিনীপুরে দুজন ব্লক সভাপতিকে বদল করা হয়েছে, সেখানে কণিষ্ক পান্ডাকে বহিস্কার করে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত শুভেন্দু অধিকারীকেই আবারও বার্তা দিতে চেয়েছে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর জন্য দল যে আর বিশেষ মাথা ব্যথা রাখছে না, সেটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!