এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বই দেখে উত্তর! স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের নতুন পরীক্ষাবিধি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

বই দেখে উত্তর! স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের নতুন পরীক্ষাবিধি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নিয়ে শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই জলঘোলা। লকডাউন পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যায়, খুব স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষাও নেওয়া যায় না। লকডাউন কেটে এখন আনলক পর্ব চলছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনা পরিস্থিতি কিন্তু এখনও পুরোপুরি ভালো হয়নি। উপরন্তু ট্রেন এখনো বন্ধ, মেট্রো এখনো বন্ধ। শুধুমাত্র বাস-অটো চলছে, কিন্তু তাও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। এই অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা দেওয়া পুরোপুরি অসম্ভব বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

এই অবস্থায় এবার বিদেশি প্রতিষ্ঠান যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়, সেই ‘ওপেন বুক এক্সাম’ পদ্ধতি অবলম্বন করে এবছর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গেছে, খাতা-কলমের প্রচলিত পরীক্ষার বদলে এবছর স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর এর চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র ছাত্রীরা বাড়িতে বসে বই দেখেই পরীক্ষা দিতে পারবে। জানা গেছে, ইমেল বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের কোশ্চেন পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে বসে উত্তর লিখে কতৃপক্ষকে অনলাইনে তা পাঠিয়ে দেবে।

যদি কারোর কাছে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ না থাকে তাহলে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীর বাড়িতে প্রশ্ন পৌঁছে দেওয়া এবং উত্তর পত্র জোগাড় করার দায়িত্ব নেবে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে 1 থেকে 18 ই অক্টোবরের মধ্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা শেষ করতে হবে। ফল ঘোষণা হবে 31 শে অক্টোবরের মধ্যে। সেই মতো এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায়, তা নিয়ে চলাচ্ছে আলোচনা। আগেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ঘোষণা করেছিল 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও এই নির্দেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেয়। জানা গেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চলতি মাসেই ল্যাবরেটরী এবং সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষাগুলি নিয়ে নেবে। তবে ইউজিসির সম্মতি না আসা পর্যন্ত পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবেনা বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে আবুটার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গৌতম মাইতি জানিয়েছেন, করোনা আবহকে কাজে লাগিয়ে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পরীক্ষা নিতে বাধ্য করছে।

অন্যদিকে জুটার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে হবে। অধ্যাপক নীলাঞ্জনা দত্ত জানান এ প্রসঙ্গে, বহু দেশেই বাড়ি থেকে বসে পরীক্ষা দেওয়া যায়। একই পদ্ধতি অবলম্বন করে যাদবপুরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে অস্বস্তির কিছুই নেই। তবে এবছর বই দেখে উত্তর লেখার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার আলোচনা। বই দেখে স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা দিলে তা কতটা শিক্ষার্থীর মানদণ্ড বজায় রাখবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে 2020 যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য একটি বছর হতে চলেছে, তা নিয়ে নিশ্চিত সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!