বড়সড় বিপাকে ফিরহাদ হাকিম, সৌজন্যে প্রাক্তন সহকর্মী শোভনের বিশেষ বান্ধবী! কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য December 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কয়েক বছর ধরেই সমস্যায় আছেন বলে জানিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শোভন চ্যাটার্জির প্রসঙ্গ হোক বা বিজেপিতে যোগ, সংবাদমাধ্যমের খবরের পাতায় তাঁর উপস্থিতি প্রায় সকলেরই চেনা। তবে সম্প্রতি যে বিষয়টি নিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন, সেটি হল তাঁর কর্মজীবন। বস্তুত, মিল্লি আল আমিন কলেজে অধ্যাপনা করতেন তিনি। কিন্তু সেখানেই অধ্যাপনা করার সময়ই তাঁকে বারবার হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেইসময় বহুবার অপমানিত হয়েছেন বলেও জানাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে সেই কথা সরকারকে জানানো সত্ত্বেও সমস্যা মেটেনি বলেই দাবি করেন তিনি। তবে এরপরে তাঁকেই ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সমস্যা আরও বাড়ে বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি। এরই মধ্যে জানা যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ‘উসে উখাড় কে ফেক দো’ আহ্বানের যোগ্য জবাব দিতে চাকরি ছাড়লেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, গত জুন মাসে অধ্যক্ষের পদে ইস্তফা দেওয়ার পর তা গৃহীত হয়েছে বলে তাঁকে হয়নি। এরই মধ্যে সম্প্রতি মিল্লি আল আমিন কলেজে ছাত্রীরা নানা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। আর সেখানে গিয়েই নাকি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম “বৈশাখীকে সমূলে উত্পাটিত কর” এমনটা বলেন। এরপরই অশান্তি চরমে ওঠে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যে শোভনবাবু এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে ফিরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বলেও জানা যায়। আর এর পরের দিনই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে রামমোহন কলেজে বদলী করা হয়। ২২ বছর চাকরি থাকার সত্ত্বেও এরপরই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে সম্প্রতি তিনি যা করলেন, তাতে সেই জল্পনা যে আরো বেড়েছে, সেটা বলাই বাহুল্য। জানা গেছে, ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর সম্পর্কে ফিরহাদ হাকিম যা মন্তব্য করেছেন, তা অপমানজনক বলেই মনে করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, একজন মন্ত্রী হয়ে একজন মহিলা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তিনি তা অপমানজনক। ফলে অবিলম্বে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর ফিরহাদ হাকিম যদি ক্ষমা না চান, তাহলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।সেইসঙ্গে জানা গেছে, ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে আমিরউদ্দিন ববিকেও। ওই আইনি নোটিশের সময়সীমাও রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “সম্মান নিয়ে বাঁচাটা মৌলিক অধিকার। সেই সম্মানটাই নষ্ট হয়েছে। উনি যে কথা বলেছেন তা ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটা শুধু কলেজের চৌহদ্দিতে আটকে নেই।” তাঁর আমার মর্যাদাটা নষ্ট হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -