এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বৈশাখীকে অবশেষে ফোন দিলীপের, গলেছে বরফ, কাছাকাছি শোভন-বৈশাখী- ও বিজেপি!

বৈশাখীকে অবশেষে ফোন দিলীপের, গলেছে বরফ, কাছাকাছি শোভন-বৈশাখী- ও বিজেপি!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, এই প্রশ্ন বারবার তুলে ধরেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যার কারণে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এলেও সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাকে। খাতায়-কলমে তারা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য হলেও, দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকতে দেখা গেছে তাদের। তবে শনিবার সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তার মানভঞ্জনের চেষ্টা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন।

আর তারপর থেকেই আশা করা হয়েছিল, এবার হয়ত রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব মিটে যাবে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হলেও, সেখানে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানালেও, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনো নিমন্ত্রণ না করায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

যার ফলে তিনি যে সেই বিজয়া সম্মেলনীতে যাবেন না তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে এবার আসরে নেমে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে গোটা ব্যাপারটি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যার ফলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হতে শুরু করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, রবিবার সল্টলেকে পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বিজেপির পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে বিজেপি দপ্তর থেকে শনিবার ফোন যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর ফোনে তাকে বলা হয়, রবিবারের অনুষ্ঠানে যেন শোভন চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত থাকেন। কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলা হলেও, তাকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কোনো কথা বলা হয়নি। যার ফলে প্রশ্ন তৈরি হয়। বিজেপি রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সেক্ষেত্রে কেন শুধুমাত্র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আমন্ত্রন জানানো হল?

তাকে ফোন করা হলেও কেন তাকে আমন্ত্রণ জানানো হলো না! স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। অরবিন্দ মেননের সঙ্গে বৈঠকের পর সমস্ত দূরত্ব মিটে যাবে বলে আশা করা হলেও এই ফোনে যে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেল, তা কার্যত পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। তবে অবশেষে সেই দূরত্বকে মিটিয়ে নিতে এবার ময়দানে নামতে দেখা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। যেখানে দিলীপবাবুর কথায় কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট হতে দেখা গেছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

জানা যায়, তাকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে যখন বৈশাখীদেবী কিছুটা গোসা করে রয়েছেন, তখন দিলীপ ঘোষ তাকে ফোন করার চেষ্টা করলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানান অরবিন্দ মেনন। আর তারপরই রবিবার রাতে সেই দিলীপ ঘোষকে ফোন করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই একটা ফোনেই সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি কেটে যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনেক বার ফোন করেও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে শুনলাম। তাই আমি নিজেই ফোন করেছিলাম। দিলীপদা তখন নিজেও বললেন যে, তিনি কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। একটা বিভাজনের চেষ্টা দলেরই কেউ কেউ করছিলেন। তার দায়টা কৌশলে দিলীপদার উপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু তার সঙ্গে আমার সরাসরি কথা হওয়ায় সেই চেষ্টা সফল হল না‌। আগামী দিনে দিলীপদার নেতৃত্বেই আমরা দলের হয়ে কাজ করব।”

একাংশ বলছেন, প্রথমদিকে দিলীপ ঘোষ শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাল-ভাত বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তারপর থেকেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল শোভনবাবু এবং বৈশাখীদেবীর বলে দাবি করেন অনেকে। তবে সাম্প্রতিককালে বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে সেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আবার নতুন করে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।

কিন্তু একটা ফোনেই সেই দূরত্ব কিছুটা হলেও মিটে গেল বলেই মনে করা হচ্ছেঋ পাশাপাশি এতদিন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভালো বললেও, রাজ্য নেতৃত্ব সম্পর্কে তেমন কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি শোভনবাবু এবং বৈশাখীদেবীকে। কিন্তু এবার দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর তার নেতৃত্বেই দল করার কথা জানিয়ে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে সমস্ত বনিবনা মিটিয়ে নিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!