প্রশাসনিক বৈঠকে মেজাজ হারিয়ে ধমক মুখমন্ত্রীর, দলের অবস্থা দেখে মাথা ঠিক থাকছে না দাবি বিরোধীদের! তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজনীতি রাজ্য November 25, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বাঁকুড়ায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে নানা বৈঠকে ইতিমধ্যেই বিজেপির উদ্দেশ্যে কটাক্ষ বাণী প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে রাজ্যের জন্য নানা প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে সম্প্রতি সেখানকার এক প্রশাসনিক বৈঠকে মেজাজ হারিয়ে ধমক দিতে দেখা গেল তাঁকে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। বস্তুত, রাজ্যে বাউড়ি, বাগদি ও মতুয়া বোর্ড গঠন নিয়ে বিস্তারিত বলতে শোনা গিয়েছিল মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তার পরেই বাঁকুড়ায় প্রশাসনির বৈঠকে বাউড়ি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন পর্যদ তৈরি করার আবেদন করেছিলেন ছাতরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহদেব বাউড়ি। আর তা শুনেই মেজাজ হারাতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বোর্ড আর উন্নয়ন পর্ষদ তাঁরা একই অর্থে ব্যবহার করেন। তাই তাঁর কাছে দুটো একই জিনিস বলেই জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন। তাই আর কেউ কিছু চাইবে না। সব ধীরে ধীরে করে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, সরকারের সীমাবদ্ধতাও মানুষকে বুঝতে হবে। সেইসঙ্গে কোথা থেকে টাকা আসবে সেটাও ভেবে দেখা দরকার। তাঁর মতে, সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা করোনার জন্য খরচ হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেখানে সেই তুলনায় কেন্দ্র প্রায় কিছুই দেয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, অন্য জায়গার সরকারি কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ১ তারিখের মধ্যেই বেতন দিচ্ছেন, পেনশন দিচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, সবই মানুষের টাকা। তাই আলাদা করে চাইলে সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, সেটা একবার ভাবা উচিত বলেই মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে, এরইমধ্যে সহদেব বাউড়ি তফিশিলি বন্ধু প্রকল্পে বিধবাদের সুবিধা দেওয়ার আবেদনও জানান। আর সেই সময় মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সব সময় পাকামো! এটা দাও, ওটা দাও। সারাক্ষণ দাও দাও দাও। শুধু চাইলেই হয় না। টাকাটা নিয়েও ভাবতে হবে। আমি যা দিয়েছি, তার আগে কেউ এক শতাংশও করতে পারেনি।” আর এই কথা শুনেই বিরোধীদের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। অনেকের কথায় এবারের ভোটে তিনি যে আর সেইভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারবেন না সেটা তিনি আগেই বুঝতে পেরেছেন। তাই দলের অবস্থা দেখে মাথার ঠিক রাখতে পারছেন না বলেও কটাক্ষ করতে দেখা গেছে বিরোধীদের। আর সেই কারণেই তিনি মেজাজ হারালেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিরোধীরা। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -