বক্তব্য রাখতে উঠেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রোধে কড়া বার্তা মমতার! জেনে নিন উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য February 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –নির্বাচনের আগে বিজেপিকে আটকাতে এখন বিভিন্ন জেলা সফর করতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে নিয়ে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে সভা রয়েছে তার। মূলত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত এই দুই জেলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে টিকিট পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। আর এই পরিস্থিতিতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আটকাতে এবং বিজেপিকে কুপোকাত করতে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে এসে বক্তব্য রাখতে উঠেই সকলকে সতর্ক করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে যারা দলের কাজ করবে তাদের দল দেখে নেবে বলে জানিয়ে দিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।সূত্রের খবর, আজ বেলা একটায় রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে এসে পৌছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বক্তব্য শুরুর সাথে সাথেই কেউ যাতে কারো সঙ্গে ঝগড়া না করে, তার জন্য নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “আমিও দলের একজন কর্মী। আপনারা সকলে ভালো করে কাজ করুন। কেউ বেশি লোভ করবেন না। যে ভাল কাজ করবে, তার সঙ্গে দল সব সময় থাকবে। টিকিট পাওয়া নিয়ে বেশি চিন্তা করার দরকার নেই।” স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল নেত্রীর এই ধরনের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালোমতোই জানেন, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের পরাজয়ের পেছনে প্রধান কারণ রয়েছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এক আসনে দলের পক্ষ থেকে একজনকে প্রার্থী করায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন অপর নেতা। যার ফলে অন্তর্ঘাত তৈরি হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে ভোটবাক্সে। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির বাড়বাড়ন্তের কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের ফলাফল যেমন খারাপ হয়েছে, ঠিক তেমনই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে এর জন্য প্রধান ভাবে দায়ী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি যখন আবার উত্তরবঙ্গ থেকে ব্যাপক সাফল্য পেতে তৎপর, ঠিক তখনই রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে সভার মধ্যে দিয়ে দুই দিনাজপুরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করবার জন্য কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সকলকে লোভ করা থেকে বিরত থাকার নীতি শিক্ষা দিতে শোনা গেল তাকে। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বক্তব্য যে দলের নেতাদের উদ্দেশ্য করেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বক্তব্যকে মাথায় নিয়ে এবার দলীয় নেতারা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -