এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বীরভূম ও বোলপুরের দুই তৃণমূল প্রার্থী ঘিরে চূড়ান্ত জল্পনা শুরু শাকসকদলের অন্দরে

বীরভূম ও বোলপুরের দুই তৃণমূল প্রার্থী ঘিরে চূড়ান্ত জল্পনা শুরু শাকসকদলের অন্দরে

আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কড়া সতর্কতা নিচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই। সম্প্রতি দলীয় কোর কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ভোটের টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং কাজের রেকর্ড ভালো করে খতিয়ে দেখার উপর জোর দিয়েছেন। ২০১৪ সালের ভুলের পুনরাবৃত্তি ২০১৯ এর ভোটে আর চান না তিনি। রাজ্যে ৪২-এ ৪২ দখলকেই পাখির চোখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৈঠকে নেত্রীর নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করে দেওয়ার পর থেকে প্রার্থী বাছাই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শাসকদলের অন্দরে। আর এরমধ্যেই অনুব্রত গড়ে বীরভূম এবং বোলপুর কেন্দ্রে দুই তৃণমূল প্রার্থীকে ঘিরে চূড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে। বোলপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ অসিত মাল। অবে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ছবিটা একটু অন্য।

অনুব্রত মণ্ডলের অপছন্দের তালিকায় থাকা বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায় এই কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার তালিকায় সবথেকে শীর্ষে রয়েছেন। শতাব্দী রায় এবং তাঁর মেয়ের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই সখ্যতাই শতাব্দীকে বীরভূম কেন্দ্রে প্রার্থী হতে সাহায্য করছে বলেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

তবে বীরভূম জেলায় দাপট চলে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। জেলার বিধায়ক থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকরা সকলেই অনুব্রত বাবুর নির্দেশকে বেদবাক্যের মতো মান্যতা দেন। আপাতত বীরভূম জেলা তৃণমূল শিবিরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। এখানে অনুব্রত মণ্ডলই শেষ কথা। তবে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র গতবারের জয়ী সংসদ সদ্য শতাব্দী রায়ের প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে অনুব্রত বাবুর আপত্তি রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ বিগত পাঁচ বছরে শতাব্দী রায়কে একই রাজনৈতিক মঞ্চ ভাগ করে নিতে সেভাবে দেখা যায় নি। বিভিন্ন কর্মীসূচি আলাদাভাবেই করেছেন তাঁরা। দলীয় সূত্রের দাবী,শতাব্দী রায় যাতে এবারে লোকসভা ভোটে টিকিট না পান তার জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন অনুব্রড মণ্ডল। তবে সোমবার সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দলীয় বৈঠকের পর অনুব্রত মণ্ডলের অনেক সহযোদ্ধারা একান্তে বলছেন,শতাব্দী রায়ের প্রার্থী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

তাই গত লোকসভা ভোটের মতোই অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনুব্রতবাবুকে এবারও শতাব্দী রায়ের জন্যই ভোট চাইতে হবে। তবে একটা আসনে অনুব্রত বাবুর পছন্দের প্রার্থী না দাঁড়ালেও বোলপুর আসনে তাঁর প্রিয় মুখকেই প্রার্থী করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী,এমনটাই শোনা যাচ্ছে। পাঁচ বছরের বিধায়ক অসিত মাল এই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছেন। তবে গতবারের মতো শেষ মুহূর্তে সব উল্টে না গেলে তিনিই এবার বোলপুর আসনে প্রার্থী হবেন,এমন সম্ভাবনাই প্রবল।

তবে এবারই প্রথম প্রার্থী হিসাবে প্রথম হাতেখড়ি নয় অসিতবাবুর। ২০০৯ সালের ভোটে তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোটের প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেসের প্রতীকে বোলপুর আসনে লড়াই করেছিলেন এই রাজনীতিতে পোড় খাওয়া এই মানুষটি। সেবাই ৪ লক্ষ ১১ হাজার ৫০১ টি ভোট (৩৮.১৪%) পেয়েছিলেন তিনি।

তাঁর এই জয়ের রেকর্ডই প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে তাকে অনেকটাই এগিয়ে রাখছে। জনসভায় অসিত মালকে ‘দুধ ক্ষীর’ বলে প্রশংসা করলেও তাকে প্রার্থী করা নিয়ে কিন্তু এখনই কিছু বলেননি অনুব্রত মণ্ডল। এমনকি শতাব্দী রায়কে ভোটের প্রার্থী করার প্রসঙ্গ নিয়ে কোনো অসন্তোষও প্রকাশ করেননি তিনি। এ নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি শতাব্দী রায় এবং অসিত মালও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!