এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বোলপুরে ব্যাপক জনসমাগম! ফুল-মার্কস পেলেন অনুব্রত!

বোলপুরে ব্যাপক জনসমাগম! ফুল-মার্কস পেলেন অনুব্রত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তার কাছে দিদি অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষকথা। দিদি যখন বলবেন, তখন তিনি সেই নির্দেশ পালন করতে বদ্ধপরিকর। সম্প্রতি সেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে পদযাত্রা করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেখানে তার এই পদযাত্রায় উপচে পড়েছিল ভিড়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই এরপরই পাল্টা পদযাত্রা করার নির্দেশ আছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। আর সেই নির্দেশ আসার সাথে সাথেই অনুব্রত মণ্ডল দিয়েছিলেন হুংকার।

জানিয়ে দিয়েছিলেন, বোলপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায় রেকর্ড সংখ্যক জমায়েত হবে। আর মুখে তিনি যা বলেন, তা যে বাস্তবেও করে দেখান, তা প্রমাণ করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় ভাই বীরভূমের কেষ্ট। সকলেই নিশ্চিত ছিল, অনুব্রত মণ্ডল এই পদযাত্রায় ব্যাপকসংখ্যক জামায়াত করবেন। কিন্তু তা সংখ্যা কত হবে, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন অনেকেই। অবশেষে ব্যাপক জমায়েত করিয়ে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে ফাস্ট ক্লাস মার্কস পেয়ে গেলেন অনুব্রতবাবু বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, এদিন দুপুরে বোলপুরের মিছিল শেষের পর অনুব্রত মণ্ডলের মুখে চওড়া হাসি দেখতে পাওয়া যায়। কেননা অমিত শাহ যে মিছিল করেছেন এবং সেখানে যা জমায়েত হয়েছে, তার থেকে অনেকটাই বেশি জমায়েত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের এদিনের পদযাত্রায়। মূলত মিছিলে না থাকলেও পেছন থেকে কোন দিক দিয়ে কোন রাস্তায় মিছিল প্রবেশ করবে, তার নজরদারি চালান অনুব্রত মণ্ডল।

জানা যায়, এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে প্রথমে টুরিস্ট লজ মোড় এলাকায় দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ডাকবাংলো মোড়ে চেয়ার নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে। যেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। মাঝে ঠাট্টা করে এক কর্মীকে বলেন, “কিরে আর লোক নিবি!” অর্থাৎ কর্মী সমর্থকদের কাছে বিজেপির পাল্টা পদযাত্রা দিয়ে সেখানে কত ভিড় হবে, তা নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অনুব্রতবাবু একা দায়িত্ব নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, এখনও পর্যন্ত বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। এক্ষেত্রে বিজেপির পদযাত্রাকে কার্যত ফিকে করে দিয়ে যে পদযাত্রা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার পেছনে অনুব্রত মণ্ডলের কৃতিত্ব সর্বাগ্রে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায় বলেন, “চৌরাস্তায় ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। কিন্তু কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ শহরবাসী যাতে দুর্ভোগে না পড়েন, সেদিকেও আমাদের দলের কর্মীদের নজর ছিল। যখনই কোনো এলাকায় বেশি ভিড় হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে মিছিল ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা নাহলে এত মানুষকে পদযাত্রায় শামিল করা যেত না।” কিন্ত যেভাবে তিনি বিজেপির থেকে দ্বিগুণ বড় মিছিল করে দেখিয়ে দিলেন, তাতে তিনি তো অনেক কদম এগিয়ে গেলেন! শুধু বিরোধীদের কাছে নয়, এবার তো দলের অনেক শীর্ষস্তরের নেতার কাছে অনুব্রত মণ্ডল কার্যত হিরো!

এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “দিদির সংগঠনের লোকজন শুধু আসেননি। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে উপকৃত লোকজনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছিলেন। দিদি যখন বলবেন, তখনই এরকম এক লক্ষ মানুষের জমায়েত করে দিতে পারব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি জেলার বাকি পাঁচটি শহরেও আলাদা করে মিছিল করতে বলেন, তাতেও এরকম মানুষের জমায়েত হবে। এটা আমার কাছে কোনো ফ্যাক্টর নয়। পুলিশ শহরে মিছিলে ঢুকতে দেয়নি। বহু মিছিল আটকে দিয়েছিল। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটে যেত।”

অর্থাৎ বিজেপির পাল্টা মিছিল করে কার্যত নিজের হাতে চ্যালেঞ্জ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বুঝিয়ে দিলেন, বীরভূম জেলায় তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ এখনও রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই মিছিল যেমন তার ব্যক্তিগত সাংগঠনিক রূপকে আবার প্রতিষ্ঠিত করল, ঠিক তেমনই বিরোধীদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মিছিলে অনুব্রত মণ্ডল রেকর্ড করলেও, ভোটবাক্সে তিনি তার দলকে কতটা সাফল্য পাইয়ে দিতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!