এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তি বাড়িয়ে গেরুয়াশিবিরেও হাজির ‘বোমা মারতে চাওয়া নেতা’!

লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তি বাড়িয়ে গেরুয়াশিবিরেও হাজির ‘বোমা মারতে চাওয়া নেতা’!


লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই বিতর্কিত মন্তব্যে বিজেপি নেতাদের আরো বেশি করে জুড়তে দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে মোদী-শাহরা। সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজনৈতিক চর্চার মধ্যমনি হলেন বিজেপি নেতা বিক্রম সাইনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এক বেফাঁস মন্তব্য করে ফেললেন তিনি।

বললেন,‘‘একেবারেই ব্যক্তিগত মতামত। তবে ভারতে থেকে যাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, বিপন্ন বোধ করছেন, তাঁদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া উচিত। আমাকে কোনও একটা মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হোক। কাজে করে দেখিয়ে দেব। একজনও রেহাই পাবে না।’’

পাশাপাশি আরো জানালেন,দেশদ্রোহীদের চরম শাস্তি হওয়া অবশ্যই উচিৎ। কেন্দ্রীয় সরকারের মূল্যবোধের সম্মান না করলে সম্মান না করলে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। যে দেশে গেলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না সে দেশে চলে যেতে পারেন তাঁরা। দেশভক্তি না থাকলে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াটাই ভালো বলে বক্তব্যে জানালেন তিনি। একজন বিজেপি নেতার এইধরণের বিতর্কিত মন্তব্যের পর তাঁর অসহিষ্ণুতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে যায় গোটা দেশে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এটাই তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যে হাতেখড়ি নয়,আগেও বহুবার এভাবে মন্তব্য করে বিতর্ককে উস্কে দিয়েছেন তিনি। গতবছর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি সভায় গিয়েও একইভাবে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুটো করে সন্তান নিচ্ছেন হিন্দুরা।

কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষেরা সে নিয়ম মানছেন না। আর সেজন্যেই দেশে জনসংখ্যার কোনো ভারসাম্য নেই। তাই যতদিন পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনো আইন পাশ হচ্ছে না ততোদিন দুটের বেশি সন্তান নিতে হিন্দুদের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এই মন্তব্য করার পরও তাকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠে গিয়েছিল। তবে এবারে তাঁর ‘বোমা মারতে চাওয়া’ মন্তব্যে তিনি সরাসরি ভাবে কারোর নামোল্লেখ না করলেও বিতর্ক ধামাচাপা থাকেনি।

উল্লেখ্য,গতমাসে বুলন্দশহর হত্যাকান্ড নিয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। দেশের পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে ভুগছেন বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সেটা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারপরই প্রকাশ্যে বোমা মারার হুমকি দিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে জড়ালেন এই বিজেপি নেতা।

এভাবে বারবার বিতর্কিত মন্তব্যে বিজেপি নেতা-কর্মীদের নাম জড়ানোয় চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের। লোকসভা ভোটের আগে দলীয় ভাবমূর্তির স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে কীভাবে এই সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যায় তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে গেরুয়াশিবিরের অন্দরে,এমনটাই খবর দলীয় সূত্রের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!