এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে তরজা! বড় নির্দেশ আদালতের!

বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে তরজা! বড় নির্দেশ আদালতের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী থাকার সময় বন সহায়ক পদ নিয়ে ভুরি ভুরি আবেদন জমা পড়তে শুরু করে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করে শাসকদলের একাংশ।

নাম না করে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছিলেন। আর এর পরেই বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের একটি মামলা দায়ের করেন মালদহের কৌশিক ঘোষ। তবে এবার এই ব্যাপারে রাজ্যের কাছে তথ্য চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।

সূত্রের খবর, এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর পন্থা নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছেন। শুধু তাই নয়, মেধা তালিকা বর্তমানে কি অবস্থায় রয়েছে, সেই ব্যাপারেও আদালতের কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। আর আদালতের কাছে এই ব্যাপারে রাজ্যের পক্ষ থেকে হলফনামা জমা দেওয়ার পরই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হবে বলে খবর। আর এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে আদালতের কাছে কি হলফনামা বা জবাবদিহি করে, তার দিকে লক্ষ্য রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, গত নভেম্বর মাসে 2 হাজার বন সহায়ক পদে নিয়োগ হয়। তখন রাজ্যের বনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগদান করার পর তাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে যে ছেলেটা ছিল, সে এখন আমাদের সঙ্গে নেই। আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, বন সহায়ক পদ নিয়ে কারচুপি হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।” এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ করার পরেই পাল্টা মুখ খোলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “কোথা থেকে সুপারিশ হয়েছে, সব দেখাতে পারি। সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। তদন্ত হোক। আমি মুখ খুললে বটগাছ নড়ে যাবে।” আর এমত পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি আদালতে পৌঁছে গেলে রীতিমত জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি এই ব্যাপারে আগামী মার্চের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিল। এখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে কাছে এই ব্যাপারে কি জানানো হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!