বনগাঁয় চেয়ারম্যান বিদ্রোহী 11 জনকে “অদৃশ্য” করতে চাইলেও অস্তিত্ব জানান দিলেন কাউন্সিলররা নদীয়া-২৪ পরগনা June 15, 2019 লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই শাসক দলের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন। যার জেরে কিছুটা হলেও আতঙ্কিত হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। সম্প্রতি বনগাঁ পুরসভার 11 জন তৃণমূল কাউন্সিলর দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব চেয়ে মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন জানালে তার পরেই সেই 11 জন দলীয় কাউন্সিলর বাড়ি থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছেন বলে বনগাঁর পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বনগাঁ পৌরসভা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। কিন্তু শুক্রবারই বনগাঁর তৃণমূলের সেই 11 জন কাউন্সিলর একত্রিত হয়ে ফেসবুক লাইভ করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা কেউ অদৃশ্য হননি। আর এতেই ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। তাহলে কি কাউন্সিলরদের নিজেদের বাগে আনার জন্যই এবং পুরসভা নিজের হাতে রাখার জন্যই সেই কাউন্সিলরদের অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ঘটনা তুলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বনগাঁ পৌরসভা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য! সেই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 7 জুন বনগা পৌরসভার 11 জন তৃণমূল কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব চেয়ে আবেদন করেন। আর এর পরদিনই সেই পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সহ আরও তিনজন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব এনে একটি চিঠি দেন। যার জেরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে তৃনমূল। আর এরপরই গত বুধবার বারাসাতে যারা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে আবেদন করেছিলেন, সেই সমস্ত দলীয় কাউন্সিলার এবং পুরসভার চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু সেখানেও সেইভাবে সমাধান সূত্র না বেরোনোয় তৈরি হয় জটিলতা। আর এরই মাঝে বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য 11 জন তৃণমূল কাউন্সিলর অদৃশ্য হয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। তবে চেয়ারম্যানের এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে শুক্রবার ফেসবুক লাইভ করে তারা অদৃশ্য নন, একত্রিতই রয়েছেন বলে জানিয়ে দেন সেই বনগাঁ পৌরসভার 11 জন তৃণমূল কাউন্সিলর। এদিন এই প্রসঙ্গে মনোতোষ নাথ নামে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে আবেদনকারী তৃনমুল কাউন্সিলর বলেন, “আমরা তো বুধবারই জেলা নেতৃত্ব এবং চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাহলে এই অভিযোগ আসছে কোথা থেকে! তাই আমরা সকলে মিলে ফেসবুক লাইভ করে পুরো বিষয়টা সাধারণ মানুষকে জানিয়েছি।” সব মিলিয়ে চেয়ারম্যান 11 জন তৃণমূল কাউন্সিলরকে অদৃশ্য বলে দাবি করলেও তারা প্রত্যেকেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গিয়ে সকলেই একত্রিত রয়েছেন বলে জানিয়ে দিলেন। আপনার মতামত জানান -