এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বঙ্গের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাকে ফিরিয়ে আনতে সফল হলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা

বঙ্গের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাকে ফিরিয়ে আনতে সফল হলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত কয়েক দিন যাবত গেরুয়া শিবিরের অশান্তি নজরে এসেছে সবার। মূলত প্রার্থী তালিকা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। নিজেদের পার্টি অফিস ভেঙে, জ্বালিয়ে রাজ্যজুড়ে অশান্তির সূচনা করেছিলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা। এমনকি হেস্টিংসের বিজেপির নির্বাচনী অফিসে গিয়েও প্রবল বিক্ষোভ দেখানো হয়। যথারীতি এই ঘটনা তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে রাজ্য বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বকে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে এধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। ভোটের মুখে মান ভাঙাতে এবার আসরে নামানো হল কেন্দ্রীয় বিজেপির হেভিওয়েট নেতাকে।

বিজেপি নেতা অমিত শাহ রাজ্যে এসে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের শান্ত করার চেষ্টায় ভোকাল টনিক প্রয়োগ করেন। যদিও তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের সুবিধা যাতে করে না দেয়, তার জন্য ময়দানে নেমেছেন এবার বিজেপির হেভিওয়েট নেতা। সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে শ্রীরামপুরে বিজেপি নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্য্যকে শান্ত করতে দৌড়ান উত্তরপ্রদেশের বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তার সঙ্গে ভাস্করবাবুর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামল বসু। প্রসঙ্গত, হুগলির টিকিট না পাওয়ার কারণে বিজেপি নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্য্য কিছুদিন আগে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন অভিমানে ভর করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার জেরে তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির। প্রার্থী টিকিট না পাওয়াই যে পদত্যাগের অন্যতম কারণ, সে কথা স্পষ্টভাবে তাঁর পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য্য। আর এবার রাজ্য কমিটির বিজেপি নেতাকে আটকাতে সুদূর উত্তরপ্রদেশ থেকে ছুটে এলেন যোগী আদিত্যনাথের ডেপুটি কেশব প্রসাদ মৌর্য। যথারীতি এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন ভাস্কর ভট্টাচার্য্যের সাথে আলোচনার পর কেশব প্রসাদ মৌর্য জানান, ভাস্কর ভট্টাচার্য্য দলের পুরোনো নেতা। সেক্ষেত্রে মান-অভিমান থাকতে পারে। তবে সাংসদ বা বিধায়ক না হলে সবকিছুর রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, তা ঠিক না। তবে দলের নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর ভরসা অবশ্যই রাখতে হবে।

অন্যদিকে আলোচনার পর বরফ গলার ইঙ্গিত দিয়েছেন ভাস্কর ভট্টাচার্য্য নিজেও। তিনি কেশব প্রসাদ মৌর্যের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন, দলের প্রার্থী না করায় তাঁর যে ক্ষোভ, তা মেনে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে ভাস্কর ভট্টাচার্য্য এখনো পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গেই আছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গেরুয়া শিবির নেতাদের মান ভাঙাতে যেভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে বিক্ষুব্ধ বিজেপির অনেকেই ইতিমধ্যে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জায়গায় জায়গায় প্রচার শুরু করেছেন। সেক্ষেত্রে সবার মান ভাঙিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছেনা।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!