এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বঙ্গভঙ্গ নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত বিজেপি, দুই নেতার পৃথক মন্তব্য নিয়ে জল্পনা!

বঙ্গভঙ্গ নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত বিজেপি, দুই নেতার পৃথক মন্তব্য নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে। কিন্তু বিজেপি সাংসদের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত টালমাটাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। যেখানে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা। আর গেরুয়া শিবিরের সাংসদের মুখ থেকে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি সামনে আসতেই তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। তাহলে কি ফের ভাঙতে চলেছে বাংলা?

এবার কি কলকাতার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ থাকবে না উত্তরবঙ্গের? আলাদা রাজ্য হবে শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে দার্জিলিং, মালদহ থেকে শুরু করে দিনাজপুর? ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনোভাবেই রাজ্যকে ভাগ করতে দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে গুঞ্জন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ যখন উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দাবি তুলছেন, তখন বিজেপির শীর্ষস্তরে এই ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ। তবে জন বারলা এই কথা বললেও, এর বিপক্ষেই মত দিতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সায়ন্তন বসুকে। অর্থাৎ বঙ্গভঙ্গ নিয়েও এখন বিজেপির দ্বিধাবিভক্ত রূপ সামনে চলে এল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি বিস্ফোরক দাবি করেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। যেখানে তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব।” আর তারপরেই উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে গুঞ্জন তৈরি হয়। অনেকেই এই ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে পড়েন। যদি উত্তরবঙ্গ পৃথক রাজ্য হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের মানুষদের অনেকটাই সুবিধে হবে। তবে বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্তের অভিযোগ তুলে প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শাসক দলের নেতা, মন্ত্রীরা এই ব্যাপারে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ জন বারলা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবেন বলে জানালেও, তার বিপক্ষেই মত দিতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপির অন্যতম নেতা সায়ন্তন বসুকে।

এদিন তিনি বলেন, “যদি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় না থাকত, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হত না। ফলে বিজেপি কখনই চায় না, বাংলা ভাগ হোক। বাংলাকে অখণ্ড রাখার ক্ষেত্রে বিজেপির সব সময় অগ্রগামী ভূমিকা রয়েছে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট ফলাফল এরপর বাংলা জুড়ে রাজনৈতিক হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীরা লাঞ্ছিত হচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা, তাতে এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার পরিবেশ তৈরী হয়ে গিয়েছে। তবে বাংলা ভাগ বিজেপি কখনই চায় না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অরৃথ্যাৎ উত্তরবঙ্গের কথা তুলে ধরে সেই এলাকাকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ। তবে সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে বাংলা জুড়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা বলে “বাংলা এক থাক” এমনটাই মন্তব্য করতে দেখা গেল রাজ্যের বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে। স্বাভাবিক ভাবেই সাংসদের এক মন্তব্য এবং হেভিওয়েট নেতার আর এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলতেই উত্তরবঙ্গের অনেক মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছেন। তবে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপি বাংলাকে ভাঙতে চাইছে বলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি বাংলার বিধানসভা নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে।

আর তারপরেই যদি বিজেপির বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ উঠতে শুরু করে, তাহলে তারা আরও ব্যাকফুটে পড়ে যাবে। তাই সাংসদের মন্তব্যকে সমর্থন না করে বাংলা ভাগ বিজেপি কখনই চায় না বলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলেন সায়ন্তন বসু। তবে বিজেপি সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল হিসেবেই পরিচিত। সেক্ষেত্রে দলীয় নেতা এবং সাংসদের এই মন্তব্য বিজেপির দিকেই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!