এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বঙ্গ ভোটে ভরাডুবির পর বিজেপির এখন ‘শ্যাম রাখি না কুল’ অবস্থা! বিশেষ দায়িত্বে দুই শীর্ষনেতা

বঙ্গ ভোটে ভরাডুবির পর বিজেপির এখন ‘শ্যাম রাখি না কুল’ অবস্থা! বিশেষ দায়িত্বে দুই শীর্ষনেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – স্বপ্ন ছিল, দল দু’শোর বেশি আসন নিয়ে বাংলার ক্ষমতা দখল করবে। শুধু রাজ্য নেতারা নয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও এই স্বপ্নে মশগুল হয়েছিলেন। কিন্তু গত রবিবার ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই বিজেপির সেই আশায় জল পড়ে যায়। স্বপ্ন তো বাস্তব হয়ইনি, উল্টে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জ অনুযায়ী, বিজেপি দুই অঙ্কের সংখ্যা পার হতে পারেনি। মোটে 77 টি আসন পেয়ে রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা দখল করতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

তাই এই পরিস্থিতিতে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর একদিকে দলের ভরাডুবি এবং অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা তাকে করা হবে, এই দুই নিয়ে রীতিমত সমস্যায় রয়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই দলের ভেতরে এবং বাইরে বেশকিছু নেতা এই ফলাফলের জন্য দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে দায়ী করতে শুরু করেছেন।

স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে চাপে রাখতে বিধানসভার অলিন্দে বিরোধী দলনেতা করে এগিয়ে যাবে, বিজেপি সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে‌। তাই এই পরিস্থিতিতে শনিবার একটি জরুরি বৈঠক করল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব‌। যে বৈঠকে রাজ্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। স্বাভাবিক ভাবেই এই বৈঠককে কেন্দ্র করে এখন জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার দিল্লির বাড়িতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক তথা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা কে হবে, তা নিয়ে দুজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং সাধারন সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব। এই দায়িত্বে থাকবেন বলে খবর।

মূলত বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে বেশকিছু নাম উঠে আসতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে অন্য দল থেকে আসা দুই নেতা সামনের সারিতে রয়েছেন বলে খবর। তাই এই পরিস্থিতিতে সংঘ চাইছে, বিজেপিতে থেকে রাজনীতি করেছে এবং স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে এই বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব দেওয়া হোক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে, এটাই দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বিরোধী দলনেতা নিয়ে যাতে পরবর্তীতে দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা তৈরি না হয়, তার জন্য এখন থেকেই শীর্ষ নেতৃত্ব এই গোটা বিষয়ে নজর দিতে শুরু করেছে। আর সেই কারণেই এই বৈঠক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোটে বিপর্যয়ের পরেই দলীয় নেতৃত্বের একাংশ দলের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। নেতৃত্ব ঠিকমত না থাকার কারণে দলের এই ফলাফল হয়েছে বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন অনেক বিজেপি নেতারা। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে একদিকে বিপর্যয় এবং অন্যদিকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে এখন থেকেই নিজেদের ঘর গোছানোর দিকে মনোযোগী হয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির।

তাই সর্বভারতীয় দুই নেতার উপর দায়িত্ব দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কাকে করা যায়, সেই বিষয়টি চূড়ান্ত করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। কেননা এক্ষেত্রে যদি রাজ্যের নেতারা দায়িত্ব নেন বিরোধী দলনেতা ঠিক করার, তাহলে দলের অনেক নেতা পরবর্তীতে প্রশ্ন তুলে দিতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরে এই দায়িত্ব নিয়ে যদি বিরোধী দলনেতা ঠিক করা হয়, তাহলে তা নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠবে না বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে শনিবারের বৈঠকের পর বিজেপির একদিকে বিপর্যয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানো এবং অন্যদিকে বিধানসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কাকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে সামনে রাখে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!