এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বঙ্গভঙ্গের দাবীর পেছনে কি কাজ করছে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক কৌশল? প্রশ্ন উঠতেই চড়ছে বিতর্ক

বঙ্গভঙ্গের দাবীর পেছনে কি কাজ করছে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক কৌশল? প্রশ্ন উঠতেই চড়ছে বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের নিচুতলার সংগঠনে প্রায় প্রতিদিন হয়ে চলেছে দলবদল। তবে দলের উপরমহল থেকে কেন্দ্রীয় বিজেপি সহ-সভাপতি মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে রীতিমতন রাজনৈতিক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। আর এবার বিজেপির বঙ্গভঙ্গের দাবি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই মনে করছেন, বঙ্গভঙ্গের দাবি কার্যত গেরুয়া শিবিরের ভাঙ্গনকে আরও স্পষ্ট করে তুলবে।

ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারের জেলা বিজেপি সভাপতি দলবল নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অনেকেই আবার এই পুরো ঘটনার পেছনে মুকুল রায়ের কারসাজিকেই দেখছেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সংসদ জন বার্লা অভিযোগ তুলেছেন, উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। আর সে কারণেই তিনি উত্তরবঙ্গকে হয় আলাদা রাজ্য, না হলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন। আর এবার একই সুরে রাঢ়বঙ্গ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের।

তিনি জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই রাঢ়বঙ্গ থেকেও এ ধরনের দাবি উঠবে। জন বার্লার দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির ব্যক্তিগত কথা বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছে। সেখানে সৌমিত্র খাঁয়ের দাবি যে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই বিতর্ক সৃষ্টি করবে, তা বলাইবাহুল্য। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গেরুয়া শিবিরকে ক্রমাগত বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ থেকে বিজেপির অন্যান্য নেতারা কিন্তু সমগ্র বাংলার কথাই বলছেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে কিন্তু বিজেপি যে পিছিয়ে রয়েছে তা মানতেই হবে।

এই অবস্থায় যদি বঙ্গভঙ্গের ডাক দেওয়া হয় তা জনমানসে ভালো প্রভাব ফেলবেনা একথা বিজেপি নেতারা খুব ভালোভাবেই জানেন। বিধানসভা নির্বাচনের এই ফলাফলের পর 2024 এর লোকসভা নির্বাচন গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আর তার আগে যদি বাংলা ভাগের মতন দাবি তোলা হয় বিজেপি থেকে, তা কিন্তু বড়োসড়ো প্রভাব পড়তে পারে আগামী লোকসভা নির্বাচনের ওপর। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই ঘটনার পেছনে পুরোপুরি মুকুল রায়ের ষড়যন্ত্র দেখছেন। প্রসঙ্গত জন বার্লা এবং সৌমিত্র খাঁ দুজনেই মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবশ্য বিজেপি ছেড়ে যখন মুকুল রায়ের আসার গুঞ্জন প্রবল তখনও পর্যন্ত সৌমিত্র খাঁ মুকুল রায়কে নিজের রাজনৈতিক গুরু বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু মুকুল রায় অবশ্য দল ছাড়া সাথে সাথেই সেই সৌমিত্র খাঁ তাঁকে মীরজাফর বলে আক্রমণ করতেও দ্বিধাবোধ করেননি। কিন্তু এসব কথাকে একপাশে রেখে আসলে বিজেপির অন্দরে ফাটল ধরানো কিংবা কোন্দল বাড়ানো মুকুল রায়ের কৌশলগত হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

প্রসঙ্গত, আজকে আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি বিজেপির গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তাঁর অনুগামীদের নিয়ে যোগ দিলেন তৃণমূল ভবনে এসে। আর সেখানেই মুকুল রায় বিজেপির শেষের শুরু বলে দাবি করেছেন। আর এখান থেকেই শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক জল্পনা। ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে, বিজেপি থেকে বেশ কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ক তৃণমূলে আসতে পারেন বলে। জল্পনার মাঝেই দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সেক্ষেত্রে রাজনীতির কারবারিরা অনেকেই মনে করছেন, যারা বিজেপি ছাড়তে চাইছেন তাঁরা কিন্তু এবার দল বিরোধী বা দলের নীতিবিরোধী মন্তব্য করতে পারেন। সেক্ষেত্রে দল যদি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তাহলে তৃণমূলের যাবার পথ তাদের কাছে অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। তবে গেরুয়া শিবিরের কাছে এই মুহূর্তে যে চূড়ান্ত অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে আলিপুরদুয়ারের সাংসদের বঙ্গভঙ্গের দাবি সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারে বিজেপির ভাঙন নতুন করে সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলো বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মুকুল ঘনিষ্ঠদের বঙ্গভঙ্গের দাবি কি কার্যত মুকুল রায়ের অঙ্গুলীহেলনের ফল? থাকছে প্রশ্ন, চড়ছে বিতর্কের পারদ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!