বন্যা দুর্গত মানুষদের ত্রাণের ব্যবস্থা করছে না প্রশাসন! এবার বড়সড় ধর্নায় বিজেপি নেতারা! বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য September 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে করোনা পরিস্থিতি এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দুর্যোগে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাংলার মানুষের জীবন যাপন। লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন ধরে রুজিরুটি যেমন বন্ধের মুখে, ঠিক তেমনভাবে দুর্যোগে অনেকেরই বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত দুর্গত মানুষদের জন্য করা হয়েছিল সাহায্যের ব্যবস্থা। কিন্তু বারেবারেই অভিযোগ উঠেছে, নীচুতলার শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা মানুষকে সাহায্য দেওয়ার বদলে তা আত্মসাৎ করেছে। ঘনিষ্ঠদের সেই সাহায্য পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযোগ তুলে ধরে বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে তৃণমূলকে চাপে ফেলা হয়েছে। আর এবার পুরাতন মালদহ ব্লকে দুর্গতদের জন্য ত্রাণ চাইতে এসে তা না পেয়ে ধরনায় বসে পড়লেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপে করেছে প্রশাসন। জানা যায়, শুক্রবার পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা নিতাই মন্ডল, সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উকিল মন্ডল সহ অন্যান্য নেতারা সকাল থেকে তাদের আন্দোলন চালাতে শুরু করেন। ত্রাণ চাইতে এসেও কেন তা পাওয়া যাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হন তারা। পরবর্তীতে বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় বিজেপি নেতা কর্মীদের। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা নিতাই মন্ডল বলেন, “ত্রাণ নিয়ে প্রশাসন দ্বিচারিতা করছে। দুর্গত এলাকার মানুষ এখনও ত্রাণ পাননি। আমরা তাদের জন্য ত্রাণ চাইতে গেলে অফিসাররা ঘুরিয়ে দিয়েছেন। বিডিওর নির্দেশে ব্লকের অফিসাররা আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু কেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এরকম আচরণ করা হচ্ছে? তারা যখন প্রশাসনের কাছে ত্রাণের আবেদন করছেন, তখন কেন তাদের ত্রাণ দিচ্ছে না প্রশাসন? এদিন এই প্রসঙ্গে পুরাতন মালদহের বিডিওকে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ব্যাপারে সদর মহকুমা শাসক সুরেশচন্দ্র রানো বলেন, “বিক্ষোভকারীদের কি কি দাবি রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।” এদিকে বিজেপির এই বিক্ষোভ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তৃণমূলের হারেজ আলি। তবে যে যাই বলুন না কেন, বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ভয়াবহ দুর্যোগের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর এবারে সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই প্রশাসনের কাছে ত্রাণ চাইতে এসে যেভাবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখাল ভারতীয় জনতা পার্টি, তাতে স্থানীয় প্রশাসন কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোটা পরিস্থিতি সামলে নিয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -