এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বনদপ্তরের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ! প্রতিবাদে-ধর্নায় কার্যত স্তব্ধ উত্তর, বাড়ছে ক্ষোভ

বনদপ্তরের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ! প্রতিবাদে-ধর্নায় কার্যত স্তব্ধ উত্তর, বাড়ছে ক্ষোভ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার আসার পর টাকা ছাড়া চাকরি হয় না বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। বিভিন্ন জায়গায় অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে বলে তৃণমূলের নানা হেভিওয়েট নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। এক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রীতিমত আরও বেশি করে তৃণমূলকে চাপে রাখতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

আর এই পরিস্থিতিতে বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করল উত্তরবঙ্গ। জানা গেছে, আলিপুরদুয়ার রেঞ্জ অফিসগুলোতে ইতিমধ্যেই বন বস্তিবাসীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যেখানে রীতিমত অফিসগুলোতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন তারা। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবস্থা। জানা গেছে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত বক্সা, রাজাভাতখাওয়া এবং দমনপুর রেঞ্জ অফিস স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছিল। কিন্তু চিলাপাতা রেঞ্জ অফিসে সোমবার বিকেল পর্যন্ত তালা থাকতে দেখা গেছে।

তবে পরবর্তীতে পরিস্থিতি সমাধান করবার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল বনদপ্তরকে। আর এর মাঝেই মাদারিহাট রেঞ্জ অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বন বস্তিবাসীরা। জানা গেছে, অস্থায়ী বন সসহায়ক পদে নিয়োগের জন্যই এদিন সকালে মাদারিহাট রেঞ্জ অফিসের দ্বিতীয় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিক্ষোভকারী শমিক ওরাও বলেন, “বন সহায়ক পদে নিয়োগে বহিরাগতদের সুযোগ দিয়ে বন বস্তিবাসীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এই নিয়োগের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিক্ষোভ আন্দোলন চলতেই থাকবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে কি বিক্ষোভকারীদের এই অভিযোগ সত্যি? কেন এই পরিস্থিতিকে সমাধান করার চেষ্টা হচ্ছে না! এদিন এই প্রসঙ্গে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এর ডিএফও কুমার বিমল বলেন, “বন বস্তিবাসীদের এই আন্দোলনে আমরা হতাশ। অস্থায়ীভাবে আমাদের দপ্তরের যেমন কোনো হাত নেই, আবার এই নিয়ে বাতিলের ক্ষেত্রেও দপ্তরের কোনো হাত নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে সরকারের বিষয়। সরকারি অফিসে এই ধরনের বাধা মানা যায় না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।”

এদিকে এই বিক্ষোভের জন্য যে পর্যটন ব্যবস্থার যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে, সেই ব্যাপারেও আশঙ্কায় রয়েছেন একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “যে কোনো দাবিতে আন্দোলন হতেই পারে। কিন্তু কথায় কথায় যেভাবে রেঞ্জ অফিস ঘেরাও হচ্ছে, তাতে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসা প্রভূত লোকসানের মুখে পড়েছে। এর দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার।” স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের আগেই এভাবে বন বস্তিবাসীদের পক্ষ থেকে বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে যে বিক্ষোভ শুরু করা হল, তা যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলবে প্রশাসনকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই বিক্ষোভকে সামাল দিতে এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!