এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কোনও চুরি-ডাকাতি করি না, বই লিখে – গানে সুর দিয়ে, লোকের বাড়ি থেকে একবেলা খেয়ে চলে যায়: মমতা ব্যানার্জি

কোনও চুরি-ডাকাতি করি না, বই লিখে – গানে সুর দিয়ে, লোকের বাড়ি থেকে একবেলা খেয়ে চলে যায়: মমতা ব্যানার্জি

লোকসভা নির্বাচনে এবার বিজেপি বাড়তি নজর দিয়েছে এই বাংলার দিকে। ইতিমধ্যেই বাংলায় এসে গেরুয়া ঝড় তুলে জোর প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর যে সভা থেকে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি অনুন্নয়ন সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে কেন্দ্রের শাসক দল।

সম্প্রতি গত শনিবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বুনিয়াদপুরের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর এবার পাল্টা সেই নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পষ্ট করেই গেরুয়া শিবিরের বক্তব্যের ধরে ধরে জবাব দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে বুনিয়াদপুরের সভা থেকে সততার প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আক্রমণও শানালে এদিন সেই প্রসঙ্গে পাল্টা মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “মা মাটি মানুষই আমার পরিবার। আমার অন্য কোনো পরিবার নেই। দীর্ঘদিন এমপি ছিলাম। তা সত্ত্বেও কোনো পেনশন নেই না। সাধারণ মানুষের দয়ায় চেয়ারে বসেছি। একটা টাকাও বেতন নিই না। গাড়ির তেলের খরচ নিই না। চাটাও খাই না। নিজের পয়সায় খাই। কোনো চুরি ডাকাতি করি না। 87 টি বই লিখেছি। বইয়ের দামের 10% রয়্যালটি পাই। গান লিখি, সুর দিই। তাতেও পয়সা আসে। সবকিছু মিলিয়ে চলে যায়। এক বেলা খাই, তাও কারো বাড়ি থেকে আসে। তাই আমাকে যে চোর বলে বলুক, আমার কিচ্ছু আসে যায় না। আগে এই সব ব্যাপারে দুঃখ পেতাম। এখন এসবের উর্ধ্বে উঠে গিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রবিবার কল্যাণীর গয়েশপুরের নির্বাচনী জনসভা থেকে বিজেপির হয়ে নির্বাচন কমিশনের একাংশ কাজ করছে বলে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ জানান তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে সামনে রেখে এমন সমস্ত কথাবার্তা বলা হচ্ছে যাতে বিজেপির সুবিধা হয়। দিল্লির পুলিশ ভোট দেবে না। ভোট দেবে মানুষ। 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট করিয়েছিল। কিছু লাভ হয়নি। যতই চেষ্টা করুন, এবারও বিজেপি গোল্লা পাবে।”

অন্যদিকে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকে 10-15 বছর আগের বিহারের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করায় এদিন সেই প্রসঙ্গেও সুর চড়িয়ে তৃনমূল নেত্রী বলেন, “সাত দফায় ভোট করে বাংলাকে আগেই অসম্মানিত করা হয়েছে। এখন আবার বিহারের সঙ্গে আমাদের তুলনা করা হচ্ছে। কিচ্ছু করতে পারবে না দিল্লি পুলিশ। জেনে রেখো, মানুষ যা ভাববে, তাই হবে।”

অন্যদিকে গয়েশপুরের সভা থেকে এদিন নাম না করে প্রাক্তন তৃনমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং সদ্য তৃণমূলত্যাগী তথা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এখানে একটা গদ্দার ছিল, তাড়িয়ে দিয়েছি। আর একটা গদ্দার ছিল ভাটপাড়ায়, সেটাকেও তাড়িয়েছি। যার যাওয়ার ইচ্ছা চলে যাক। আমি আবার তৈরি করে নেব। শুনছি এখন ওই গদ্দাররাই মোদীবাবুকে গ্যাস খাওয়াচ্ছে। অপেক্ষা করো ক’দিনের মধ্যেই ধপাশ ধুম হবে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বুনিয়াদপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততা নিয়ে প্রশ্ন করায় এদিন কল্যাণীর গয়েশপুরের নির্বাচনী সভা থেকে সেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে লোকসভা ভোটের মরসুমকে জমজমাট করে তুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!