এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বড় ধরণের নাশকতার ছক রুখে দিল গোয়েন্দারা, মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ৬ আল কায়দা জঙ্গি, জানুন বিস্তারিত

বড় ধরণের নাশকতার ছক রুখে দিল গোয়েন্দারা, মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ৬ আল কায়দা জঙ্গি, জানুন বিস্তারিত

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী ও আইএনএ যৌথ অভিযান চালিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে ছয়জন আল-কায়েদা জঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। দিল্লিতে মামলা দায়ের করে এর্নাকুলাম ও মুর্শিদাবাদে তল্লাশি করে গ্রেফতার করা হলো ৯ জনকে। বেশ কয়েক মাস ধরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ একাধিক গোয়েন্দা এজেন্সি এই সন্দেহভাজনদের উপর ইলেক্ট্রনিক নজরদারি চালায়। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিল এক পাকিস্তানি চর এর্নাকুলাম এর ৩ জন জঙ্গি সদস্যের সঙ্গে প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করতো। পরবর্তীতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তারা ডার্ক ওয়েবকে বেছে নেয়। ‘দ্য ওনিয়ন রাউটার’ বা ‘টিওআর’ বা টর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই পাকিস্তানী চর পাকিস্তানে বসেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতো।

টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থান থেকে বেনামে খুব সহজেই যোগাযোগ করতো জঙ্গিরা। কারণ এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে আইপি অ্যাড্রেস, ব্যবহারকারীর প্রকৃত নাম, লোকেশন কিছুই জানা যায় না। গোয়েন্দাদের কাছে জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির খবর আসে। এরপর ডোমকল, জলঙ্গির মতো মুর্শিদাবাদের বেশকিছু স্থানের কথা গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় চলে আসে। তারপর ৬ মাস আগে মুর্শিদাবাদের সঙ্গে এর্নাকুলামের এই জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগসূত্রের কথা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সাইবার সেল জানতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এভাবে ৬ মাস আগে এই জঙ্গিদের কথা জানতে পারলেও, তারপর এদের প্রকৃত লোকেশন খুঁজে বের করতে আরও চার মাস সময় চলে গিয়েছিল। তারপর দুমাস ধরে তাদের সমস্ত গতিবিধির ওপর নজর চালায় গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানতে পারে, এই সন্দেহভাজনেরা প্রত্যেকই টর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাদের বার্তা আদান প্রদান করত। এ কারণে অনেক সময় চলে যায় তাদের লোকেশন বের করতে। এরপর দুমাস আগে মুর্শিদাবাদ জেলার পাঁচটি থানা এলাকার পাঁচজনকে গোয়েন্দারা চিহ্নিত করে ও তাদের গতিবিধি সব সময় নজরে রাখতে থাকে। এ প্রসঙ্গে জনৈক গোয়েন্দা কর্তা জানিয়েছেন,
” ভারতের আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে ধৃতদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এই সংগঠন ভারতে আল কায়দার শাখা সংগঠন হিসাবে কাজ করে। এই সংগঠনের মাধ্যমেই পাকিস্তানি চাঁইয়ের হাতে যায় এর্নাকুলাম ও মুর্শিদাবাদের ৯ যুবক। এঁরা সকলেই একে অপরের পরিচিত।”

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, আল-কায়দা, আইএস জঙ্গীরা বহু পূর্ব থেকেই ডার্কওয়েব ব্যবহার করে জঙ্গিদের জেহাদে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। গোয়েন্দারা জানতে পারে, মুর্শিদাবাদের এই ৬ জন সন্দেহভাজনকে প্রথমে জেহাদের পুঁথিগত ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত দু’মাস আগে তাদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, ছুরি, লেদ মেশিন ইত্যাদি জোগাড় করার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানের সেই চর। গোয়েন্দাদের ধারণা এই ছয়জনের মধ্যে কারও না কারও না কারও সঙ্গে দেখাও করেছিল এই পাকিস্তানী চর। পশ্চিমবঙ্গে, দিল্লি, কেরলে কোন বড় ধরনের বিস্ফোরণ বা নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

কিন্তু শেষপর্যন্ত তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিল গোয়েন্দারা। প্রথমে তাদের বাড়ির চারপাশ ঘুরে দেখে, তারপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী ও এনআইএ যৌথ অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার ভোরে তাদের গ্রেফতার করে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!