এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বড় ঘোষণা! করোনা আবহেই বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেল! জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে

বড় ঘোষণা! করোনা আবহেই বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেল! জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতির কারণে সঠিক সময় বিহারের নির্বাচন হবে কিনা, তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সকল রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। নির্ধারিত সময়ের থেকে অনেকটাই পেছনে গিয়ে এই নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করেছিলেন সকলে। কিন্তু সঠিক সময়েই যে বিহার বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হতে চলেছে, তা কার্যত স্পষ্ট নির্বাচন কমিশনের ঘোষনার জেরে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী 28 অক্টোবর থেকে 7 নভেম্বর পর্যন্ত মোট তিন দফায় বিহার বিধানসভার নির্বাচন হতে চলেছে। যেখানে ফল প্রকাশ হবে আগামী 10 নভেম্বর। আর 2019 সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসলেও, তার পরবর্তী সময়কালে একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় এখন বিহারে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদিকে।

তবে সঠিক সময়ে নির্বাচন হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে বেশ কিছু সুরক্ষা বিধি আনা হয়েছে বলে খবর। যেখানে বুথের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্লাভস করে ভোটযন্ত্রের বোতাম টেপার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভোটারদের জন্য রয়েছে পৃথক ভোটদানের ব্যবস্থা। এদিকে বিহার বিধানসভার নির্বাচনের পাশাপাশি ফালাকাটা, ফলতা, কৃষ্ণনগর, হেমতাবাদ এবং এগড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আগামী দিনে হতে চলেছে বলে খবর।

যার ব্যাপারে মঙ্গলবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কর্তাব্যক্তিরা একটি বৈঠকে বসবেন। আর সেখানেই বাংলার এই পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর 2021 এ পশ্চিমবাংলার বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। যা বিজেপির কাছে পাখির চোখ। সেদিক থেকে বিহারে যেমন সাফল্য পেতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে, ঠিক তেমনই তারপরে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে ভালো ফল করার জন্য এখন থেকেই 5 বিধানসভা উপনির্বাচনে দাগ কাটতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। যা বিজেপির কাছে অত্যন্ত চাপের বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, নরেন্দ্র মোদির কাছে এখন প্রধান মাথাব্যথার কারণ বিহার বিধানসভার নির্বাচন। কেননা বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্যে রাজ্যে নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টির পরাজয় ঘটেছে। একাধিক রাজ্যে তারা ক্ষমতায় থাকলেও, ভোটের পরে সেই রাজ্যগুলোতে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়া এবং সাম্প্রতিক কালে কৃষি আইনের বিরোধিতা করে বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে আরও চাপ বাড়াতে শুরু করেছে।

তাই এই পরিস্থিতিতে নীতীশ কুমারের দলের সঙ্গে জোট করে বিজেপি বিহার বিধানসভায় জিততে চাইলেও, বিরোধীরা যে তাদের ওপর অনেকটাই চাপ দিতে শুরু করবে, তা কার্যত স্পষ্ট। তাই এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় জনতা পার্টি বিহারে কিভাবে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়, তা অবশ্যই দেখার বিষয় রাজনৈতিক মহলের কাছে। তবে অনেকে আবার বলছেন, এবার লালুপ্রসাদ যাদব পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলবন্দী রয়েছেন।

সেদিক থেকে বিরোধী দল হিসেবে লালু প্রসাদ যাদবের প্রভাব অতটা বিহারে নেই। যেখানে তার দুই পুত্র তেজস্বী যাদব এবং তেজপ্রতাপ যাদব তার দল সামলাচ্ছেন। যা ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে কিছুটা হলেও সুবিধেজনক হতে পারে। তবে করোনা ভাইরাস মহামারীর পরবর্তী সময়কালে নানা বিষয় তুলে ধরে বিরোধীরা বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলবে বলেও নিশ্চিত বিশ্লেষকেরা।

তাই এই পরিস্থিতিতে লালুপ্রসাদ যাদব হীন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কিছুটা নরেন্দ্র মোদি সুবিধা পেলেও, বিরোধীরা করোনা নিয়ে যেভাবে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করবে, তা অত্যন্ত চাপের হতে পারে পদ্ম শিবিরের নেতাদের কাছে। তাই এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদির দল কি রণকৌশল স্থাপন করে এবং তার ভিত্তিতে তাদের জয় নিশ্চিত হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!