প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মারণ ব্যাধি করোনা সারাদেশ জুড়েই তার সংক্রমণের থাবা অব্যাহত রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ দিনদিন বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট করোণা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮০ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করে গেছে। যাদের মধ্যে মৃত্যু ঘটেছে ৩৬০০ জনেরও বেশি মানুষের। তবে আশার কথা একটাই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এখনো পর্যন্ত ১ লাখ ৫৭ হাজারের বেশী মানুষ। করোনা যে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষকেই তার শিকারে পরিনত করছে তাই নয়, সমাজের মান্যগণ্যদেরও সে দিচ্ছে না রেহাই।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্র ও রাজ্যের বহু মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের বহু শাসক ও বিরোধী দলের বহু রাজনীতিবিদ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন, পুনরায় রাজনীতিতে যোগদানও করেছেন, কিন্তু মৃত্যুও ঘটেছে কয়েকজনের। এবার করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকেই। করোনা আক্রান্ত হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের মোট চার জন হেভিওয়েট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শাসক দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূল দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই তাঁর লালারস পরীক্ষা করিয়েছিলেন। গতকাল তাঁর রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে দেখা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর আর দেরি না করে গতকাল সোমবারই তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের করোনা আক্রান্ত হবার খবর আসে। খাদ্যমন্ত্রীকেও বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, খাদ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট স্থিতিশীল আছে। খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। তিনিও বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে ।তাদের দু’জনকেই প্রথমে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গতকাল সোমবার তাঁদেরকে দুর্গাপুরের হাসপাতাল থেকে মুকুন্দপুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

ইতিপূর্বে নবান্নের বহু অফিসার ও অন্যান্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রতি সপ্তাহে দুদিন করে নবান্নকে স্যানিটাইজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক সদস্যের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্যবাসীর মধ্যে।