এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বড় খবর! হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে এবার নেওয়া হল বড়সড় প্রশাসনিক পদক্ষেপ, জেনে নিন

বড় খবর! হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে এবার নেওয়া হল বড়সড় প্রশাসনিক পদক্ষেপ, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ১৩ ই জুলাই উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। প্রসঙ্গত, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় রায়গঞ্জের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সে দিন সকালে তাঁর গ্রামের আদি বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিমি দূরে রাস্তার পাশে একটি বন্ধ চায়ের দোকান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর প্রাণহীন দেহ উদ্ধার করা হয়।

বিধায়কের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিধায়কের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় তাঁর পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। যে সুইসাইড নোটে দুজনের নাম পরিষ্কারভাবে লেখা ছিল। কিন্তু বিধায়কের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে একান্তই নারাজ তাঁর পরিবারবর্গ। তাঁর স্ত্রী ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের দাবি, আত্মহত্যা নয় হত্যাই করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিধায়কের মৃত্যুর ঠিক আগের রাতে কয়েকজন যুবক তাঁর বাড়িতে এসে, তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। সে রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আর তারপরেই এমন কাণ্ড ঘটে। তাছাড়া তাঁকে উদ্ধারের সময় তাঁর হাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এ কারণেই আত্মহত্যা মেনে নিতে নারাজ তাঁর পরিবারবর্গ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তের জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার সে দাবির মান্যতা না দিয়ে সিআইডির হাতে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার অর্পণ করে। এরপর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তদন্তকারীদের হাতে এসে পৌঁছায়। এই রিপোর্টও আত্মহত্যার দিকেই মান্যতা দেয়। তবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত করেও কোন রিপোর্ট পেশ না করে এক মনগড়া গল্প স্থির করেছে। এই কারণেই এই ঘটনার তদন্তকার্যে সিআইডির উপর একেবারেই আস্থাহীন বিধায়কের পরিবারবর্গ।

মৃত বিধায়কের দেহ উদ্ধারের সময় তাঁর পকেট থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে যে দুজন সন্দেহভাজনের নাম পাওয়া গেছে, সেই দুই জনকে ইতিমধ্যে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর মামলায় রায়গঞ্জ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি। এই প্রসঙ্গে বিধায়কের সুইসাইড নোটে থাকা নিলয় ধৃত সিনহা ও আবুল আলীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয় নি। পরিবর্তে তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দান সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!