এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বড় খবর: টানটান উত্তেজনায় এবার মমতা প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তার হলেন ৩ প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক

বড় খবর: টানটান উত্তেজনায় এবার মমতা প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তার হলেন ৩ প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শহরের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শিলিগুড়ি শহরের রাস্তায় ধর্নায় বসতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির তিন বিধায়ককে। যারা হলেন শংকর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায় ও আনন্দময় বর্মন। লকডাউনের সময়ের ধরনায় বসে বিধি ভঙ্গ করেছেন, এই অভিযোগে তাঁদের গতকাল গ্রেফতার করে পুলিশ। যে ঘটনা রাজনৈতিক মহলে তীব্র শোরগোল ফেলে দেয়। তৃণমূলের দাবি, জনপ্রিয়তার কারণে এসব করছেন বিধায়কেরা।

গতকাল শিলিগুড়ির হাশমিচকে বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে সকাল নটার সময় রাস্তায় ধরনায় বসে ছিলেন বিজেপির তিন বিধায়ক। যারা হলেন শংকর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায় ও আনন্দময় বর্মন। দু-একজন বিজেপি কর্মীকে তাঁদের সঙ্গে ধরনায় বসতে দেখা গিয়েছিল। তবে বিজেপির কোন ব্যানার নিয়ে তাঁরা ধরনায় বসেন নি। নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই তাঁরা ধরনায় বসেছিলেন। এই খবর পাওয়ার পরেই শিলিগুড়ির থানার আইসি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁদের জানান যে, লকডাউন এর নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মসূচি এখন নিষিদ্ধ হয়েছে। তাঁদের উঠে যাবার পরামর্শ দেন তিনি।

এর উত্তরে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ জানান, দশটা বেজে গেলে তাঁরা রাস্তা ছেড়ে উঠে পড়বেন। ধর্নায় অনড় থাকায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এর আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বহুবার তাদের রাস্তা ছেড়ে উঠে যেতে বলেন। কিন্তু তাঁরা ধরনায় অনড় থাকায়, শেষপর্যন্ত তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ি থানাতে। তাঁদেরকে থানায় আটক করা হয়। এই তিন বিধায়কের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকাল বিকেল চারটার সময় তাঁদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, জনপ্রিয়তার জন্যে বিধায়কেরা এ সমস্ত কাজ করেছেন। সরকারি নির্দেশিকা পাবার পর এই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যায় না, এটা তাদের জানা উচিত ছিল। এখানে বিক্ষোভ না দেখিয়ে বিজেপি বিধায়কের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা, কেন রাজ্যে অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হচ্ছে না? কেন বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন? কিন্তু এরা আন্দোলনে নেমেছেন।

ধর্ণা প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়কেরা জানিয়েছেন, করোনার চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অ্যাম্বুলেন্সের বিপুল ভাড়া, নার্সিংহোমের বিপুল বিল দিতে গিয়ে সর্বস্বান্ত রোগীর পরিবার। বারবার অভিযোগ এলেও রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এই ঘটনার প্রতিবাদে ধরনায় বসে ছিলেন তাঁরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন নার্সিংহোম গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বারবার।

চিকিৎসায় অবহেলার কারণে প্রচুর মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, কিন্তু কোনোরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, হাসপাতালের কাছে গেলে তাদের কোনো তথ্য দেয়া হচ্ছে না। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক মন্ডলিও কোন রকম ভাবে সহযোগিতা করছে না। সমস্ত রকম নিয়ম বিধি মেনেই ধরনায় বসে ছিলেন তাঁরা। সেখানে দলের কোন ব্যানারও তাঁরা ব্যবহার করেননি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!