এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড় খবর! করোনার টিকা বাজারে এলেই, বিনামূল্যে বাংলার মানুষকে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে মমতা সরকার?

বড় খবর! করোনার টিকা বাজারে এলেই, বিনামূল্যে বাংলার মানুষকে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে মমতা সরকার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়ানো মাত্রই তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য শুরু হয়েছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের দুঃসহ লড়াই। আর সমস্ত দেশেই এই মুহূর্তে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের প্রস্তুতি চলছে। রাশিয়া ইতিমধ্যেই সমস্ত বিতর্ক সরিয়ে রেখে ঘোষণা করেছে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়ে। যদিও সেই প্রতিষেধক বিশ্ববাজারে কবে আসবে, তার কোন সঠিক দিশা নেই। অন্যদিকে ভারতও পিছিয়ে নেই। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে করোনার প্রতিষেধক সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে। মনে করা হচ্ছে, করোনা প্রতিষেধক হাতে আসতে বোধহয় আর বিশেষ দেরি নেই। ধরেই নেওয়া হচ্ছে, মাস তিনেকের মধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন আসবে।

তবে সাধারণ মানুষের হাতে করোনার ভ্যাকসিন কি করে পৌঁছানো যাবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তাভাবনা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যও শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ নিয়ে পর্যালোচনা। সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভা বিনামূল্যে করোনার টিকাকরণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে করোনার ভ্যাকসিনকে আইসিএমআর অনুমোদন দিলেই শুরু হবে। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদেরও করোনার টিকা দেওয়ার ভাবনা-চিন্তা চলছে রাজ্য প্রশাসনের বলে জানা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, টিকা মানুষের অধিকার। তাই সেই অধিকার থেকে এ রাজ্যের কেউ বঞ্চিত হবেন না। অন্যদিকে করোনা পরীক্ষার কিট নিয়ে উঠেছিল আগেই অভিযোগ।

আর তাই এবার ভ্যাকসিন নিয়ে খুব সাবধানে পা ফেলছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন কোন রাজ্যকে আলাদা করে কিনতে হবেনা। সরাসরি উৎপাদক সংস্থার থেকে কিনে তা বন্টন করবে কেন্দ্র। অন্যদিকে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের এর অংশীদার সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গেটস ফাউন্ডেশন এর সাহায্যে মেলায় করোনার প্রত্যেকটি ডোজের দাম হতে পারে 240 টাকা। সেক্ষেত্রে সমস্ত ডোজ মিলিয়ে দাম হতে পারে 1200 থেকে 13000 টাকা। অন্যদিকে বর্তমানে কলকাতার করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দেওয়া গেছে। উল্লেখ্য, গত 17 ই মার্চ কলকাতায় প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপর থেকেই কলকাতায় এত পরিমাণ করোনা বেড়ে গিয়েছিল যাতে চিন্তায় পড়তে হয় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তিনি এব্যাপারে বিশেষ দায়িত্ব দেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর দফায় দফায় বৈঠক করে মানুষকে সচেতন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এরপর কলকাতাসহ চার জেলাকে নিয়ে একটি ক্লাস্টার বানিয়ে বিশেষ অভিযান শুরু করে নবান্ন। এরপর থেকেই শুরু হয় কলকাতায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফের অবতরণ। বর্তমানে সংক্রমণ কমলেও আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু এখনো অনেক বেশি। বৃহস্পতিবারই শহরে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 4238 জন। নতুন করে এদিন 23 জনের শরীরে আবার করোনা ধরা পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে টিকা আসলেই দ্রুত টিকাকরণ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একাজে প্রতিটি ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর এবং পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে কাজে লাগানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে খরচের ব্যাপারটাই ভাবাচ্ছে রাজ্য সরকারকে। পুর আধিকারিকদের মতে, অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকার দামে কিছুটা ভর্তুকি দিলেই সুবিধা হবে। আর যদি তা না হয়, তাহলে কত খরচ পড়বে সে ব্যাপারে এখন থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদন সাপেক্ষে পুরো ব্যাপারটি পরিকল্পিত হবে বলে জানা গেছে। তিন মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন আসলে কিভাবে সকলকে সেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যায়, তাই নিয়েই এখন চিন্তাভাবনা চলছে পুর আধিকারিকদের।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলাগুলিতেও বিনামূল্যে করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে নবান্ন সূত্রে। তবে জেলাতে করোনার সংক্রমণ কলকাতার তুলনায় কম, তাই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে কলকাতা পুরসভাকেই বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত করোনার প্রতিষেধক ছাড়া এই মুহুর্তে করোনার হাত থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব নয় সে কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, ভারতের বুকে করোনার প্রতিষেধক দ্রুত নিয়ে আসার জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে ভারতের মতো জনবহুল দেশে প্রতিষেধকের প্রয়োজন যে অনেক বেশি তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের এখন একটাই চিন্তা, কবে মিলবে করোনা থেকে মুক্তি, কবে পাওয়া যাবে করোনার ভ্যাকসিন?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!