এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বড়সড় দাবি কেন্দ্রের! দক্ষিণ ভারতেই নাকি অনেক বেশি সক্রিয় ইসলামিক স্টেট! হাতে আছে প্রমান?

বড়সড় দাবি কেন্দ্রের! দক্ষিণ ভারতেই নাকি অনেক বেশি সক্রিয় ইসলামিক স্টেট! হাতে আছে প্রমান?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট দক্ষিণ ভারতে তার জাল ব্যাপক ভাবে বিস্তার করেছে। এমনই আশঙ্কার কথা জানাল কেন্দ্র সরকার। আজ বুধবার রাজ্য সভায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ এর তদন্ত থেকে এমন উদ্বেগজনক তথ্যই সামনে এসেছে।

সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ ডক্টর বিনয় পি সহস্রবুদ্ধে রাজ্যসভায় একটি লিখিতভাবে একটি প্রশ্ন দায়ের করেছিলেন। যেখানে তিনি জানতে চেয়েছিলেন যে, দক্ষিণ ভারতে ইসলামিক স্টেট অধিক সক্রিয় কিনা? এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র কি চিন্তাভাবনা করছে? আজ তাঁর প্রশ্নের জবাব দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা, অন্ধপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, কেরল থেকে ১৭ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১২ জনকে এনআইএ এর পক্ষ থেকে, ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগের কারণে।

দক্ষিণ ভারতের ইসলামিক স্টেটের এই বাড়বাড়ন্ত প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষণ রেড্ডি জানিয়েছেন, ” ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, দক্ষিণ ভারতে বেশি সক্রিয় রয়েছে ইসলামিক স্টেট। কেরল, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরে এই জঙ্গিরা বেশি সক্রিয়। তার মধ্যে বেশিরভাগই দক্ষিণ ভারতের রাজ্য।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষণ রেড্ডি আরো জানালেন যে, ইসলামিক স্টেটের কোন কোন সংগঠন সম্প্রতি ভারতে অত্যন্ত সক্রিয়। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ” ইসলামিক স্টেট, ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক, ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ে, ইসলামিক স্টেট অফ খোরাশান প্রভিন্স, ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক আন্ড শাম-খোরাশান প্রভৃতি সংগঠনগুলি বেশি সক্রিয় রয়েছে। আনলফুল প্রিভেনশন অ্যাক্ট, ১৯৬৭-এর আওতায় এই সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”

এ প্রসঙ্গে জি কিষণ রেড্ডি আরও জানিয়েছেন যে, নাশকতা চালাতে যথেচ্ছভাবে ইন্টারনেটকে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে এই জঙ্গী সংগঠনগুলি। এ কারণেই বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা গুলি বারবার নজর রাখছে সাইবার জালিয়াতির দিকে। প্রয়োজনে হলেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

কিন্তু, ভারতে এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর কিভাবে অর্থ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান পাচ্ছে সে বিষয়ে কেন্দ্র কোন বিবৃতি দেয়নি। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষণ রেড্ডি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, কোথা থেকে জঙ্গিদের সাহায্য করা হচ্ছে, সেই সমস্ত খবর কেন্দ্রের কাছে আছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!