বড়োসড়ো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসতেই, তৃণমূলে যোগদান নেত্রী সহ বহু বিজেপি কর্মীর তৃণমূল বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য December 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শনিবার মেদিনীপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূলের বেশকিছু সাংসদ, বিধায়ক, হেভিওয়েট নেতা- নেত্রী যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। এককথায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঢল নেমেছিল। কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর বেশ কিছু স্থানে শুরু হয়েছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মূলত আদি বনাম নব্যের লড়াই শুরু হয়েছে বিজেপিতে। যার জেরে মালদহ জেলাতে জনৈক বিজেপি নেত্রী বহু বিজেপি কর্মীকে নিয়ে যোগদান করলেন তৃণমূলে। প্রসঙ্গত, মালদহ জেলার গাজোলের তৃণমূল বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস গত শনিবার তৃণমূল ছেড়ে যোগদান করেছেন বিজেপিতে। গাজলের তৃণমূল বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতেই গাজোল ব্লকের বিজেপির বেশকিছু সদস্য অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। শেষপর্যন্ত, বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেত্রী লক্ষ্মী সোরেনের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেত্রী লক্ষ্মী সোরেন ২০০ জন বিজেপি কর্মীদের নিয়ে সদলবলে যোগদান করলেন তৃণমূলে। গাজলের যুব তৃণমূল ব্লক সভাপতির উদ্যোগে তৃণমূলে যোগদান পর্ব চললো। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী লক্ষ্মী সোরেন জানান যে, তৃণমূল বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস এক অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন। অত্যাচার করেছিলেন বিজেপির কর্মীদের উপর। কিন্তু সেই বিধায়কই এখন এসে পড়েছেন বিজেপিতে। তাই তিনি বিজেপি ত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এভাবে বিজেপি নেত্রী লক্ষ্মী সোরেন ও ২০০ জন বিজেপি কর্মীর তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় উচ্ছ্বসিত স্থানীয় তৃণমূল শিবির। তাদেরকে স্বাগত জানানো হলো তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হলো, এই ঘটনা কেবলমাত্র সূত্রপাত। এরপর অনেক বড় মাপের ভাঙ্গন দেখা যাবে বিজেপিতে। বিজেপির অনেক নেতা, নেত্রী আছেন, যারা বিজেপি ত্যাগ করে চলে আসবেন তৃণমূলে। এমনটাই তৃণমূলের দাবি। তবে, বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেত্রী লক্ষ্মী সোরেন সহ ২০০ জন বিজেপি কর্মীর বিজেপি ছাড়ার ঘটনাকে তেমন গুরুত্ব দিলো না স্থানীয় বিজেপি শিবির। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হলো, এটি একটি ছোট ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়। গত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন লক্ষ্মী সোরেন। সে নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। তাই তিনি দল ছেড়ে দিলে, তার কোনো প্রভাব পড়বে না বিজেপিতে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা জানাচ্ছেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে আসতে থাকবে। ততই বাড়তে থাকবে দলবদল। দলবদলের খেলায় মেতে উঠবে দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও বিজেপি। রাজ্যজুড়ে অশান্তির পরিবেশ বাড়বে। আপনার মতামত জানান -