এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় ধাক্কা মুকুল রায়ের, আদালতের নয়া সিদ্ধান্তে বিপাকে বাংলার চাণক্য!

বড়সড় ধাক্কা মুকুল রায়ের, আদালতের নয়া সিদ্ধান্তে বিপাকে বাংলার চাণক্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক ভাবে তার অনেকটাই গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে। কিন্তু বিজেপি নেতা মুকুল রায় যখন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্ব পেয়ে কিছুটা চাঙ্গা, ঠিক তখনই আদালতের একটি সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়তে হল তাকে। জানা গেছে, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী বা প্রাক্তন সাংসদ হলেও, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কোনো মামলাই তিনি জনপ্রতিনিধি থাকার সময় নয়। তাই তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কোনো মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে হবে না বলে জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছিল, বিধায়ক এবং সাংসদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তা দ্রুত শেষ করবার জন্য প্রতিটি হাইকোর্টে পৃথক বেঞ্চ তৈরি করতে হবে। আর সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই তিনটি বেঞ্চ গঠন করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণণ। সেই মোতাবেক সোমবার হাইকোর্টের পক্ষ থেকে গঠিত একটি বেঞ্চে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুটি মামলার শুনানির জন্য ওঠে।

যার ফলে মুকুল রায়ের ভবিষ্যৎ কি হবে, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত জানিয়ে দেন যে, এই 12 টি মামলার একটিও মুকুলবাবু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা সাংসদ থাকার সময় দায়ের করা হয়নি। তাহলে কিভাবে তা বিশেষ বেঞ্চে হবে, তার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিকে মুকুল রায়ের আইনজীবী এই প্রশ্ন তুললেও, তার কোনোরূপ বিরোধিতা করতে দেখা যায়নি রাজ্য সরকারের আইনজীবিকে। যার ফলে মুকুল রায়কে নিয়ে এই সমস্ত মামলার দ্রুত শুনানির চাপ অনেকটাই কমে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুকুলবাবুর মত হেভিওয়েট বিজেপি নেতা অনেকটা স্বস্তিতে থাকলেন বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, যদি মুকুল রায়ের এই সময় এই মামলাকে কেন্দ্র করে বিড়ম্বনা বৃদ্ধি পেত, তাহলে তিনি বিজেপিতে পদ পাওয়ার পর অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে যেতেন। সেদিক থেকে তার আইনজীবীর হাইকোর্ট এই ব্যাটিং সেই মুকুলবাবুকে অনেকটাই স্বস্তি এনে দিল। অনেকে বলছেন, এমনিতেই মুকুল রায় দীর্ঘদিন পর বিজেপিতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর বিজেপির একাংশ তা খুব একটা মেনে নিতে পারছেন না। ফলে তিনি যে খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় নেই, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাই এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায়ের নামে যে সমস্ত মামলা রয়েছে, তা যদি দ্রুত শুনানির কথা বলা হত, তাহলে তাকে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়তে হত। সেদিক থেকে বর্তমান সময়ে কিছুটা হলেও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

এদিকে মুকুলবাবু বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার পরেই বিজেপির অন্দরে তা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে মুকুল রায় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাই আমরা চাই না, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাকে এই রাজ্য কোনো দায়িত্ব দেওয়া হোক। মুকুলের সঙ্গে যারা বিজেপিতে এসেছিলেন বা তার হাত ধরে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তারা ইদানীংকালে তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় কোনো মুখ খুলছেন না। মুখ খুললেও তা নিম্নগামী। রনংদেহী মূর্তিটা তারা ভুলে গিয়েছেন।” সব মিলিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেলেও মুকুল রায়কে নিয়ে বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন কমছে না কিছুতেই। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!