এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বড়সড় দুর্দিন সিপিআইএমের, পার্টি অফিসে বসলো ভাড়াটে, প্রবল অস্বস্তিতে লালশিবির!

বড়সড় দুর্দিন সিপিআইএমের, পার্টি অফিসে বসলো ভাড়াটে, প্রবল অস্বস্তিতে লালশিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2012 সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেখা গেছিল বাংলা জুড়ে সিপিএম ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। মাঝখানে সিপিএম তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইতে নেমেছিল, কিন্তু তাতেও যে বিশেষ কিছু ফল হয়নি সে কথা এতদিনে স্পষ্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার রাজনীতিতে ক্রমশই গুরুত্ব হারিয়েছে লাল ঝান্ডাধারী দল। রাজ্যজুড়ে ক্রমশ তাঁদের পার্টিঅফিসগুলিও হাতছাড়া হতে শুরু করে। তবে এবার সিপিএম নিজেই তাঁদের একটি পার্টি অফিসকে ভাড়া বাড়িতে পরিণত করল।

যা জানাজানি হওয়ার পর রীতিমত অস্বস্তিতে বাম দল। সম্প্রতি ডুয়ার্সের গয়েরকাটায় সিপিএম শাখা অফিস ভাড়া দেওয়া হয় মালদা থেকে আসা জনা ছয়েক ফেরিওয়ালাকে। তার বদলে ভাড়া দিতে হচ্ছে মাত্র 2 হাজার টাকা। জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের গয়েরকাটা পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সিপিএম পার্টির একটি শাখা অফিস পড়ে রয়েছে। মূলত ডুয়ার্স এলাকায় বরাবরই সিপিএমের রাজত্ব ছিল। একসময় আগে চা বাগান বেশি থাকার দরুণ শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসগুলি জমজমাট ছিল।

এমনকি 2014 সাল পর্যন্ত এই এলাকা সিপিএমের দখলে ছিল। কিন্তু 2014 সালে সিপিএম ছেড়ে বেশকিছু সদস্য তৃণমূলে যোগ দেয়, আর তারপরেই সাকোয়াঝোড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে যায়। ক্রমশই এরপর থেকে শাখা অফিসে লোকজনের যাতায়াত কমতে থাকে। স্থানীয়দের মতে, তাও মাঝে মাঝে দু-একজনকে ওই পার্টি অফিসে দেখা গেলেও হঠাৎ করেই শনিবার বিকেলে কিছু ফেরিওয়ালাকে দেখা যায় পার্টি অফিসে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র রাখছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তারপরে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা জানান, শনিবার বিকেল থেকে তাঁরা এই পার্টি অফিসটি কয়েক মাসের জন্য ভাড়া নিয়েছে মাসিক 2000 টাকার বিনিময়ে। বিক্রির জন্য তাঁদের জিনিসপত্র ফুরিয়ে গেলে তাঁরা ঘর ছেড়ে দেবেন। এ প্রসঙ্গে সিপিএম জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এ ধরনের কোনো খবর নেই। তবে তিনি একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার অধিকার কারোরই নেই।

যদি অভিযোগ সত্য হয়ে থাকে, তবে পার্টির শৃঙ্খলা যে বা যারা ভেঙেছে তাঁদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে। অন্যদিকে এই খবরে রাজনৈতিক মহলেও জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্যের বাম শিবির বর্তমানে গুরুত্ব হারানোয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের পার্টিঅফিসগুলিও জৌলুস হারিয়েছে। গয়েরকাটার ঘটনা সে দিকেই ইঙ্গিত করে।আপাতত, রাতারাতি পার্টি অফিসকে ভাড়াবাড়িতে পরিণত করার জন্য কে বা কারা দায়ী তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!