বড়সড় দুঃসংবাদ, করোনা নিয়ে, ২০২০ ফের ফিরছে বিশ্বে? চিকিৎসক মহলের আশঙ্কায় কাঁপছে বিশ্ব আন্তর্জাতিক জাতীয় বিশেষ খবর শরীর-স্বাস্থ্য February 23, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ এক বছর করোনাকে সাথে নিয়ে চলার পর অবশেষে করোনা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে দেশে এসেছে করোনার প্রতিষেধক। ইতিমধ্যেই প্রথম সারির যোদ্ধাদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরুও হয়ে গেছে। কিন্তু চিকিৎসকরা করোনার আশঙ্কা পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে পারছেন না। করোনার প্রভাব কিছুটা কম হলেও এখনো কিন্তু যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিন্তু করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে ইতিমধ্যেই এদেশের চিকিৎসক মহলও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। সাধারণের জন্য তাঁরা বারবার বার্তা দিচ্ছেন মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করার জন্য। সূত্রের খবর, সোমবারের মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, শুধুমাত্র আমাদের রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা 3440। এই সংখ্যা হয়তো কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে এইমুহুর্তে, কিন্তু পুরোপুরি নয় বলে মনে করা হছে। তার কারণ মহারাষ্ট্র এবং কেরল সহ একাধিক রাজ্যে নতুন করে যেভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা কিন্তু কপালে ভাঁজ ফেলেছে দেশের চিকিৎসকদের। অন্যদিকে এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন সামনে। যথারীতি ব্যাপকভাবে রাজ্যে চলছে রাজনৈতিক কর্মসূচি। চিকিৎসকদের দাবি, প্রথমেই এই কর্মসূচিতে রাশ টানতে হবে। না হলে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ ঠেকানো যাবেনা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গেছে গত 24 ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন 5210 জন এবং কেরলে 2212 জন। একদিনে দেশে মোট আক্রান্তের 70 শতাংশই মহারাষ্ট্র এবং কেরালা থেকে। পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতন দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ক্রমশ বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, দেশে কি এবার দ্বিতীয় দফায় ফিরে আসছে করোনা? এখনো পর্যন্ত মানুষের মনে গতবছরের ভয়াবহ স্মৃতি রয়ে গেছে। দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকার পর মানুষ একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছে। তার মধ্যেই যে ভাবে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - হায়দ্রাবাদ সেন্টার ফর সেলুলার এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে করোনার 5000 প্রজাতি নিয়ে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, করোনার N44OK প্রজাতি বর্তমানে দক্ষিণ ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে। আগের থেকে এই স্ট্রেনের গতি অনেক বেশি। আর তাই চিকিৎসকরা করোনার টিকাকরণের গতি বাড়ানোর দিকে ইঙ্গিত করছেন। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি দেখে মনে করা হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আসছে। তবে তা কতটা ভয়াবহ হবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে বাঁচার জন্য প্রয়োজন ভ্যাক্সিনেশন গতি আনা। সূত্রের খবর, স্কটল্যান্ডের একটি রিসার্চে দেখা গিয়েছে, টিকাকরণে গতি বাড়ানোর ফলে করোনা একটু একটু করে নিজের শক্তি হারিয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যে আর কিছুদিনের মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে মিটিং-মিছিল, রাজনৈতিক সমাবেশ চলছে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশরা মনে করছেন, এই রাজনৈতিক কর্মসূচি ভয়াবহ রূপ ধরতে পারে করোনার। তাহলে পরিস্থিতি কিন্তু আরো খারাপ হতে পারে। অতএব রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যে এখনো বিশেষ স্বস্তিদায়ক অবস্থায় নেই সে কথা বারবার বলছেন চিকিৎসকরা। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি যাতে আর না ফিরে আসে তার জন্য করোনার প্রতিষেধক দেবার মাত্রা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি মাস্ক এবং স্যানিটাইজার এর প্রয়োজন যে এখনো ফুরায়নি, সে কথাও জানাচ্ছেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -