এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বড়সড় সুখবর বঙ্গবাসীর জন্য? জানুয়ারিতেই এসে যাবে করোনা টিকা? হবে গণ টিকাকরণ? কি বলছে নাইসেড?

বড়সড় সুখবর বঙ্গবাসীর জন্য? জানুয়ারিতেই এসে যাবে করোনা টিকা? হবে গণ টিকাকরণ? কি বলছে নাইসেড?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের করোনার সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৪৪ হাজারের বেশী মানুষ। তন্মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে করোনায় মৃত্যু ঘটেছে ২৯০০ এরও বেশি মানুষের। প্রতিদিনের করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

প্রতিদিন ৩ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিদিন। আবার প্রতিদিন মৃত্যু ঘটছে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের। তাই এই রাজ্যের প্রতিটি মানুষ অধীর আগ্রহে করোনার প্রতিষেধক এর জন্য। এবার এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের জন্য এলো একটি দারুণ খবর।

আগামী ২০২১ এর জানুয়ারি মাসেই পশ্চিমবঙ্গের হাতে আসতে চলেছে করোনা রোগের সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভ্যাকসিন কোভ্যাকসিন। আগামী মাসেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা নিবারকের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের শুরু হতে চলেছে। হায়দ্রাবাদ শহরে ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর যৌথভাবে এই ট্রায়ালটি সম্পন্ন করতে চলেছে।

আর এই ট্রায়ালে অংশ গ্রহণ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। আর এই ট্রায়ালের চার মাসের মধ্যেই ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই করোনার ভ্যাকসিন পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। সেইসঙ্গে উত্তর প্রদেশ, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ ও দিল্লী। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে সমগ্র দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে করোনার ভ্যাকসিন। নাইসেডের পক্ষ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। একবার করোনার ভ্যাকসিনটি মানব শরীরে প্রবেশ করাতে পারলে আজীবন করোনার বিরুদ্ধে দেহে লড়াইয়ের ক্ষমতা চলে আসবে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থা আইসিএমআর এর প্রথম সারির জনৈক বিজ্ঞানী ও সেই সঙ্গে নাইসেড এর ডিরেক্টর ডাঃ শান্তা দত্ত এ প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, ” ভারত বায়োটেক সংস্থার করোনা ভ্যাকসিনের আগস্টের ট্রায়াল সফল। সেপ্টেম্বর মাসে দেশের বাছাই করা পাঁচটি শহরে তৃতীয় দফার ট্রায়াল হবে। সেই ট্রায়ালে অন্যতম অংশীদার পশ্চিমবঙ্গ।”

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, করোনা ভ্যাকসিনের এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে দেশের অন্তত এক লক্ষ নাগরিক অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। প্রসঙ্গত তিনি জানিয়েছেন, কোভ্যাকসিনের এই ট্রায়ালের সাফলতার বিষয়ে তারা সকলেই আশাবাদী। আর এই ট্রায়াল সফল হবার ৪ মাসের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে পশ্চিমবঙ্গে। সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হবে করোনার গণ টিকাকরন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ” নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় দফায় ভ্যাকসিনের ফল কেমন হল তা যাচাই করতে চার থেকে ছ’মাস সময় লাগে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি সাপেক্ষে জানুয়ারি মাসেই করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, কোভ্যাকসিন এর পরীক্ষা, এর উৎপাদন সমস্ত কিছুই করা হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমস্ত গাইডলাইন মেনে। একথাও জানালেন বিজ্ঞানী শান্তা দত্ত। প্রসঙ্গত আগামী সেপ্টেম্বর মাসে কোভ্যাকসিন এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ১ লক্ষ নাগরিকদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী বা করোনার ফ্রন্ট লাইন ওয়ারিয়র প্রমুখরা ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষ ঐচ্ছিক ভাবে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। আইসিএমআর এর অধিকর্তা ডাক্তার রামচন্দ্রন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পরিচালনা করতে চলেছেন এই ট্রায়াল, এমনটাই নাইসেড এর পক্ষ থেকে থেকে জানানো হয়েছে।

নাইসেড এর তরফ থেকে এভাবে করোনা টিকাকরনের ইতিবাচক খবর জানান হলেও দেশের সমস্ত মানুষকে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন পাবেন কিনা এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এর উত্তরে নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, ” পরিকল্পনা রয়েছে জানুয়ারিতে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া থেকে বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমোদনের পর অন্য প্রতিষেধকের মতোই গণটিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আসবে এই ভ্যাকসিন।

অন্যদিকে, করোনা নিবারক কোভ্যাকসিন সম্পর্কে আইসিএমআরের অপর এক বিজ্ঞানি ডা এস আই গিরি জানিয়েছেন, ” করোনা নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। রাজ্যগুলির সঙ্গে বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাকেও যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।” প্রসঙ্গত আইসিএমআরের বিজ্ঞানি ডাঃ এস আই গিরি কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত আছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!