এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বড়সড় সুখবর সাধারণের জন্য, আপাতত কিছুদিনের জন্য স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার ঘোষণা

বড়সড় সুখবর সাধারণের জন্য, আপাতত কিছুদিনের জন্য স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার ঘোষণা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টব্যাঙ্ক বা অন্যান ক্ষেত্রে সঞ্চয়ের ওপর সুদ ছাঁটাই করার প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। ইতিমধ্যে এই নিয়ে সরব বিরোধীরা। এবারেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে এপ্রিল মাসে বিপুল হারে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু একদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। সুদ কমানোর পথে হাঁটার পর থেকে আর সুদ বাড়ানোর পথে হাঁটেনি কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাভাবিকভাবেই মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষের স্বস্তি কিছুটা ধরে রাখতে পেরেছে এই সিদ্ধান্ত।

তবে সাধারণ মানুষের স্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ঘোষণা। বুধবার রাতে মোদী সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়, 1 লা জুলাই থেকে আগামী 30 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার একই থাকবে। গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একইভাবে সুদ কমানোর সিদ্ধান্তেই অটল রইল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এটি মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেখা যাচ্ছে, ডাকঘরে সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার বজায় রইল এই মুহূর্তে 4%।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

1 থেকে 5 বছরের মেয়াদী জমায় সুদ দেওয়া হবে 5.7% থেকে 6.7%। এছাড়া এনএসসি, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, কিষাণ বিকাশ পত্র এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার ক্ষেত্রে সুদের হার যথাক্রমে 6.8%, 7.1%, 6.9% এবং 7.6%। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আয় যেমন কমেছে, একই সাথে পাল্লা দিয়ে কমেছে সঞ্চয়ের হার। অন্যদিকে নিত্যদিন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস তুলেছে।

এই অবস্থায় যদি স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার কমানো হতো, তাহলে দেশজুড়ে মানুষের ক্ষোভের মুখোমুখি হতে হতো মোদি সরকারকে। তাই সেই ঝুঁকি নিতে এই মুহূর্তে অন্তত মোদি সরকার নারাজ। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যত বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার অন্যতম অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করা হয়েছে। একই সাথে আগামী দিনে ভোটের কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে। তবে আপাতত কিছুদিনের জন্য যে সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্ত হতে পারল তাঁদের সঞ্চয় নিয়ে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!