এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বড়সড় স্বস্তি শাসক শিবিরে, দেশের সর্ব্বোচ্চ আদালত থেকে প্রাইমারীতে নিয়োগের ব্যাপারে গ্রীন সিগন্যাল

বড়সড় স্বস্তি শাসক শিবিরে, দেশের সর্ব্বোচ্চ আদালত থেকে প্রাইমারীতে নিয়োগের ব্যাপারে গ্রীন সিগন্যাল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই প্রাইমারি টিচারের পদ পূরণ করা নিয়ে রাজ্য সরকার একের পর এক বাধা পাচ্ছিল। কিন্তু এবার ভোটের মুখে স্বস্তির নিঃশ্বাস রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। সুপ্রিম কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে রাজ্য সরকারকে গ্রিন সিগন্যাল দিল। ভোটের আগেই রাজ্য সরকার 15284 জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করতে পারবে। যথারীতি এই ঘোষণা প্রাইমারী চাকরীপ্রার্থীদের মনে আশা জাগাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

গত বছর ডিসেম্বরে তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, খুব শীঘ্রই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের এই প্রক্রিয়া ধাক্কা খায় যখন কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ শুরু হওয়ার পর রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রাথমিকে পুরোপুরি বেনিয়মে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে। কোন মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। শুধুমাত্র এসএমএস বা ফোন করে প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করেই শুভেন্দু অধিকারী প্রথম তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন এই প্রাইমারি টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, রাতের অন্ধকারে প্রাইমারি টেটে নিয়োগ হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চ শিক্ষক নিয়োগে রাজ্য সরকারকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে যায় সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়। বলা হয় নিয়ম মেনেই শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে রাজ্য সরকার।

এরপর মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। আজ সেই শুনানিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। এবার রাজ্য সরকারের সামনে আর কোনো বাধা রইল না প্রাথমিকে নিয়োগের। খুব স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মুখে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ রাজ্য সরকারকে অনেকটা সুবিধা করে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবারের ভোটে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বেশিরভাগেরই মুখে শোনা যাচ্ছে রাজ্যে বেকার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।  যথারীতি সুপ্রিমকোর্ট তৃণমূলকে সেই অপবাদ ঘোচানোর সুযোগ করে দিল। পাশাপাশি বিরোধীদের মুখ পুড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!