এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বড়সড় স্বস্তির খবর মুকুল রায়ের, পদ পেতেই একের পর এক মামলা থেকে মিলছে রেহাই? জল্পনা তুঙ্গে!

বড়সড় স্বস্তির খবর মুকুল রায়ের, পদ পেতেই একের পর এক মামলা থেকে মিলছে রেহাই? জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিরোধীদের পক্ষ থেকে নানা সময়ে অভিযোগ করা হয় যে, বিজেপিতে গেলেই অভিযুক্ত নেতাদের সমস্ত দোষ মাফ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তৃণমূলের এক কালের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায় নারদা এবং সারদা-কাণ্ড থেকে বাঁচতেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বলে নানা সময় দাবি করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের। তবে বরাবরই তদন্তের সম্মুখীন হতে তিনি সবসময় রাজি বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুকুলবাবু। প্রায় তিন বছর বিজেপিতে চুপচাপ থাকার পর অবশেষে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সেই মুকুল রায়।

কিন্তু এবার বড় জায়গায় দায়িত্ব পাওয়ার পরেই রেলে চাকরি এবং রেলের আঞ্চলিক কমিটিতে সদস্য করে দেওয়ার প্রতারণা মামলার চার্জশিটে মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করল না কলকাতা পুলিশ। যার ফলে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, হাঁসখালির তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের মামলাতেও সিআইডির পক্ষ থেকে যে দুটি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে, তার একটিতে মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ থাকলেও, তাকে অভিযুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়নি। স্বভাবতই বড় জায়গায় দায়িত্ব পাওয়ার পরই কি মুকুল রায়কে এইভাবে স্বস্তি দেওয়া হল! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2019 সালের আগস্ট মাসে সরশুনার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় একটি অভিযোগ করেন। যেখানে তিনি জানান যে, 2015 সালে তার সঙ্গে কয়েকজন ব্যক্তির আলাপ হয়। যেখানে পূর্ব রেলওয়ে কনসালটেটিভ কমিটিতে সদস্য করার জন্য তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এমনকি এই জন্য তার কাছ থেকে 40 লক্ষ্য টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে রেলের চতুর্থ শ্রেণীর বিভিন্ন জায়গায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে জাল নিয়োগপত্র দিয়ে তার কাছ থেকে আরও 15 লক্ষ টাকা নেওয়া হয়।

আর এরপরই সেই সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় সরশুনা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে নাম ছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। স্বাভাবিক ভাবেই এই মামলায় মুকুল রায় অনেকটাই বিড়ম্বনায় পড়বেন বলে মনে করেছিলেন সকলে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কলকাতার বিজেপি নেতা বাবান ঘোষ, রাহুল সাউ এবং সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে। কিন্তু সেইখানে নাম নেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন মুকুল রায়কে নিয়ে এত গুঞ্জন তৈরি হলেও, চার্জশিটে তার নাম উল্লেখ করা হল না? জানা গেছে, এফআইআরে অভিযুক্ত মুকুল রায়কে এই মামলায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির 144 ধারায় তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এর বেশি মুকুল রায় সম্পর্কে আর কোনো তথ্য উল্লেখ নেই এই চার্জশিটে। ফলে তিনি যে এই মামলায় খুব একটা অসুবিধা জনক জায়গায় নেই, তা কার্যত স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের এক তদন্তকারী বলেন, “এটা প্রথম চার্জশিট পরবর্তী তদন্তে আর কারও ভূমিকা পাওয়া গেলে অতিরিক্ত চার্জশিটে নাম উল্লেখ করা হবে।”

এদিকে হাঁসখালির বিধায়ক হত্যা মামলাতেও প্রথম চার্জশিটে মুকুল রায় এবং বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম থাকলেও, তাদের অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়নি। তবে সম্প্রতি সিআইডির পক্ষ থেকে দ্বিতীয় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। যেখানে অভিযুক্তের তালিকায় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে রাখা হলেও, সেই চার্জশিটে নাম নেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। স্বাভাবিকভাবেই এখন জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে, তাহলে কি মুকুল রায় কেন্দ্রীয় স্তরে বড় দায়িত্ব পেতেই তাকে এইভাবে শাস্তি দেওয়া হল? কেন প্রথমদিকে অভিযুক্ত হিসেবে নাম থাকলেও, পরবর্তীতে চার্জশিটে তার সম্পর্কে তেমন কোনো গুরুতর অভিযোগ উঠছে না! এখন তা নিয়েই জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!