বর্ষশেষে করোনা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন রাজ্যে জারি হচ্ছে কড়া নিয়ম? জানুন বিস্তারিত জাতীয় বিশেষ খবর December 24, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের আরো অনেক দেশের নতুন কোভিড স্ট্রেনের প্রভাবে নতুন বছরের উদযাপনটি এবার ম্লান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও ভারতে করোনা পরিস্থিতির নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে যে ভারতে এখনও নতুন স্ট্রেন সনাক্ত করা যায়নি, তবুও বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি বছরের শেষের জমায়েত এড়াতে আগাম কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলেই জানা গেছে। এদের মধ্যে মহারাষ্ট্র থেকে রাজস্থান, কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ডের সরকার ইতিমধ্যেই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে বলেই জানা গেছে। এদের মধ্যে মহারাষ্ট্র ২২শে ডিসেম্বর থেকে ৫ই জানুয়ারী পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে সাত ঘন্টা নাইট কারফিউ ঘোষণা করেছে বলে জানা গেছে। মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের পৌর কর্পোরেশন এলাকায় রাত 11 টা থেকে সকাল 6 টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ ঘোষণা করেছে বলে জানা যায়। এছাড়া নতুন করোনাভাইরাস প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগের কারণে ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়া থেকে আসা বিমানযাত্রীদের জন্য ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, অন্য দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদেরও ওই একই সময়ের জন্য হোম কোয়ারানটিনে থাকতে হবে বলে জানান হয়েছে। সেইসঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে অবতরণকারীদের জন্য বিমানবন্দরে একটি বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও জানান হয়েছে। বড়দিনের প্রাক্কালে মুম্বই গীর্জার দর্শকদের সংখ্যা 200 জনের বেশি করা হবে না বলেই জানান হয়েছে। সেইসঙ্গে মুম্বাইয়ের রেস্তোঁরাগুলির জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও জানান হয়েছে। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতে রেস্তোঁরা, ক্লাব, পাব, রিসর্ট, সৈকত রিসর্ট, সৈকতে উদযাপনের ক্ষেত্রে ৩১শে ডিসেম্বর এবং ১ লা জানুয়ারী নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। ফলত জনপ্রিয় নববর্ষের পার্টির গন্তব্য মেরিনা বিচ এবার বাদ পড়তে চলেছে বলেই জানা গেছে। তবে তামিলনাড়ুতে কারফিউ নেই। তাই সেক্ষেত্রে রেস্তোঁরা, পাব, ক্লাব এবং রিসর্টগুলি খোলা থাকলেও করোনা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলেই জানা গেছে। পুলিশের একটি আধিকারিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, মহামারীটির বিস্তার কমিয়ে আনার জন্যই বছর শেষ এবং নতুন বছর শুরুর বিপুল সংখ্যক লোকের জমায়েত নিয়ন্ত্রণে এই আদেশটি করা হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় যে, “করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া থেকে বাঁচার লক্ষ্যে সরকার একীভূত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং প্রায় আট মাসের কঠোর লকডাউন মেয়াদ শেষে ধীরে ধীরে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি শিথিল করছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই জনগণের উচিত ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহযোগিতা করা”। অন্যদিকে, কর্ণাটকে ৩০ শে ডিসেম্বর থেকে ২রা জানুয়ারী ক্লাব, পাব, রেস্তোঁরা বা জমায়েত হতে পারে এমন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয় অনুমান করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে যদিও ক্লাব, পাব এবং রেস্তোঁরা পার্টির আয়োজন করে, তবে সেক্ষেত্রে করোনা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলেই জানান হয়েছে। এছাড়া রাত দশটা থেকে ছয় টার মধ্যে নাইট কারফিউ থাকবে বলেও জানান হয়েছে। চার দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। কর্ণাটকের মুখ্যসচিব টিএম বিজয় ভাস্করের জারি করা এক আদেশে কর্ণাটক সরকার আগেও উৎসবের সময় সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলেছিলেন বলেই জানা গেছে। তবে এবার জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সহজ ও অর্থবহ উপায়ে ক্রিসমাস এবং নতুন বছর উদযাপন করা দরকার বলেই মনে করছেন তাঁরা। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই, রাজ্যজুড়ে জনসমাগম এবং বিভিন্ন স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বড় রকমের জনসমাগম করতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান হয়েছে। এই আদেশে আরও বলা হয়েছে যে, “কোভিড-১৯ এর বিস্তার এড়াতে মানুষের উত্সবকালীন সময়ে হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা উচিত নয়।” এই বিষয়ে গীর্জার আয়োজক এবং তত্ত্বাবধায়কদের সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে। এরই সঙ্গে দীপাবলির সময় আরোপিত বিধিনিষেধের ভিত্তিতে রাজস্থান সরকার বছরের শেষ অনুষ্ঠানে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া দেরাদুনে জেলা প্রশাসন কোভিড -১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে ক্রিসমাস, নববর্ষ এবং নববর্ষের হোটেল, বার, রেস্তোঁরা এবং পার্টির মতো পার্টির মতো সম্মিলিত অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে। বাদ যাননি উত্তরাখণ্ড সরকার। এদিন টুইট করে উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে জানান হয়েছে, ক্রমবর্ধমান করোনা ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে নববর্ষের প্রাক্কালে বার, হোটেল এবং অন্যান্য সরকারী স্থানগুলিতে প্রোগ্রাম, পার্টি এবং জনসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। ফলত দেশে লকডাউন শিথিল হলেও বর্ষষেশে বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সতর্কতায় মানুষের আনন্দে ভাঁটা পড়বে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -