বড় খবর! কবে বাজারে আসছে ভারতের করোনা টীকা স্পষ্ট করে দিন ঘোষণা করে দিল নির্মাতা সংস্থা! অন্যান্য জাতীয় টেকনোলজি শরীর-স্বাস্থ্য October 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশবাসী তথা বিশ্ববাসী অপেক্ষা করছে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য। কারণ প্রচলিত মাস্ক, স্যানিটাইজার, সামাজিক দূরত্ব কিংবা লকডাউন কোনকিছুই করোনা প্রতিরোধে তেমন জোরদার প্রতিপক্ষ বলে নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের বিষয়ে আশার কথা শোনাল ভারত বায়োটেক। সম্প্রতি চলছে উৎসবের মরসুম। উৎসবের মরসুমে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়তে পারে বলে বারবার দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে আবার আসতে চলেছে শীত। শীতকালে করোনা সংক্রমণ তীব্র হবার আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে ভারত বায়োটেক সংস্থার কর্তারা জানালেন যে, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যেই করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন তৈরি হবে বলে আশা আছে তাঁদের। এজন্য ব্যাপক ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। দিনরাত এক করে গবেষণা চালাচ্ছেন বেশ কিছু গবেষক। কেন্দ্রীয় সরকার জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিলেই আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে দেশের বাজারে কোভ্যাক্সিন চলে আসবে বলে আশাবাদী এই সংস্থার কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন হলো সম্পূর্ণ দেশজ পদ্ধতিতে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন। ভারত বায়োটেককে এ বিষয়ে বিশেষভাবে সাহায্য করছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিও যথেষ্ট সাহায্য করছে ভারত বায়োটেককে। কোভ্যাক্সিনের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সফল হয়েছে। এই দুই ট্রায়ালে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তাই এবার কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি দিলো কেন্দ্রীয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই ভারত বায়োটেককে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের অনুমতি দিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, দেশের মোট ২৫ টি কেন্দ্রের ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর কোভ্যাক্সিনের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালানো হবে। বেশকিছু রাজ্যে চলবে এর পরীক্ষা। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার তুলনায় এবার এবারের পরীক্ষা হবে অনেকটাই ব্যাপক। সেজন্য যেসব স্থানে এর পরীক্ষা চলবে সেইসব স্থানের সক্ষমতা, গুনমানের ওপর জোর দেয়া হয়েছে বিশেষভাবে। সেইসঙ্গে সেস্থানের সংক্রমনের ব্যাপকতার উপরেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ” যদি সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমোদন মেলে তাহলে ২০২১-এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে আমাদের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কার্যকারিতা সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যাব। জুনের মধ্যে ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমরা পুরো তিন দফার ট্রায়াল শেষ করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চাই। তবে সরকার হয়তো আপৎকালীন ব্যবহারের অনুমতিও দিতে পারে। তবে আমরা সে জন্য অনুরোধ করব না।” দেশজুড়ে মানুষ যেভাবে চাতকের মত অপেক্ষা করছে করোনার ভ্যাকসিন হাতে পেতে। সেই পরিস্থিতিতে ভারত বায়োটেক সংস্থার কোভ্যাক্সিনের এই ঘোষণায় অনেকটাই আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন দেশবাসী। আপনার মতামত জানান -