এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বসে যাওয়া কর্মীদের দলে ফিরিয়েই কি ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে “যোগদান” দেখাচ্ছে তৃণমূল? কি বলছে শাসকদল?

বসে যাওয়া কর্মীদের দলে ফিরিয়েই কি ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে “যোগদান” দেখাচ্ছে তৃণমূল? কি বলছে শাসকদল?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগে চলছে যোগদান প্রক্রিয়া। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বিরোধী দল বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ব্যাপক মাত্রায় কর্মীরা যোগদান করতে শুরু করেছেন। তবে তৃণমূলে যারা যোগদান করছে, তাদের মধ্যে অনেকেই বসে যাওয়া তৃণমূল কর্মী রয়েছে বলে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

যার ফলে প্রশান্ত কিশোরের টিম হোক বা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিরোধীদের ঘর ভাঙ্গার যে দাবি করা হচ্ছে, তা কার্যত ভিত্তিহীন বলেই দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ইতিমধ্যে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, “দলে নতুন মুখের যোগ কোথায়? আসলে বসে যাওয়া কর্মীদের দলে ফিরিয়ে নিজেরাই নিজেদের হাততালি কুড়োচ্ছে তৃণমূল।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থেকে শুরু করে ফারাক্কা, বহরমপুর সমস্ত জায়গায় তৃণমূলে যোগদান কর্মসূচি চলছে।

শাসক দলের পক্ষ থেকে বড় মঞ্চ তৈরি করে এই যোগদান কর্মসূচী করা হলেও, সেখানে বসে যাওয়া তৃণমূল কর্মীদের আধিক্য বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আর গত লোকসভা নির্বাচনে যে তৃণমূলের এত ভরাডুবি হয়েছিল, সেই তৃণমূল কংগ্রেসে এখন বিরোধী দল ভেঙে এত কর্মী কিভাবে নাম লেখাচ্ছেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, তৃণমূলে বিরোধীদের তরফ থেকে কেউ যাচ্ছেন না। বরঞ্চ শাসকদলের বসে যাওয়া কর্মীদের যোগদান করিয়ে তৃণমূল মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জামির মোল্লা বলেন, “তৃনমুল এখন ফুটো নৌকায়। সেই নৌকায় কেউ উঠতে চাইছে না। দলে যারা রাগ করে বসেছিলেন, তাদের হাতে এখন দলীয় পতাকা ধারাতে হচ্ছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “এত নীচ থেকে খুশি করতে তৃণমূলের নবনিযুক্ত যোগদান কর্মসূচির নামে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। আসলে এটা একটা নির্বাচনী কৌশল।” তবে বিরোধীদের এই দাবিকে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অশোক দাস বলেন, “ভুয়ো না সত্যি, সেটা না হয় নির্বাচনের পরেই দেখা যাবে। কে কোন দলের মিছিলে হাঁটছে, সেটা দেখলেই বুঝতে পারবেন। ফল বেরোলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। সত্যি সত্যিই তৃণমূলে বসে কর্মীদের তৃণমূল দলে যোগদান করাচ্ছে, নাকি ভাঙ্গন ধরছে বিরোধী শিবিরে! তা ভোটবাক্স খোলার পরই প্রমাণিত হয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!