এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বসিরহাটে ঘাসফুল ঝড়! বিজেপি-বামফ্রন্টের বাগান ছারখার করে ২০০০ কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে

বসিরহাটে ঘাসফুল ঝড়! বিজেপি-বামফ্রন্টের বাগান ছারখার করে ২০০০ কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের রণভেরী প্রথম বাজিয়েছিলেন তৃণমূল দলের শহীদ দিবসের ভার্চুয়াল মন্ত্র থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পর থেকেই আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের দল ও সংগঠনের ভিত্তিকে মজবুত করতে দলের সদস্য ও কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেয়া হয় দলের উপর মহল থেকে।

এই পরিকল্পনার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য বিরোধী দল বিশেষ করে বিজেপি থেকে অসংখ্য নেতাকর্মীকে তৃণমূল ভুক্ত কারবার প্রয়াস বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসছে। আর এই কারবারে অন্যান্যদের থেকে তৃণমূল যে অনেকটাই এগিয়ে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোন জায়গা নেই বলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জেলায় বিজেপির সংগঠনে ভাঙ্গন ধরিয়ে দিয়ে, বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি কর্মীদের দলবদল করিয়ে তাদের তৃণমূল ভুক্ত করতে সক্ষম হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব ইতিপূর্বেই। এই সূত্র ধরেই বিজেপির ভাঙ্গনের পালা এবার দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট বিধানসভা অঞ্চলে। আজ মঙ্গলবার এখানকার বিজেপি ও সিপিএম কর্মী মিলে প্রায় ২০০০ জন যোগ দিলেন তৃণমূলে।

বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালির দু’নম্বর ব্লকের কোরাকোটি, খুলনা, সন্দেশখালি, দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে চলো এই বিরাট দলবদল। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এভাবে অন্য দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজ দলের উদরপূর্তিতে উঠে পড়ে লেগেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার তৃণমূল পক্ষ থেকে বসিরহাট অঞ্চলের ধামাখালিতে একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুকুমার মাহাত, সন্দেশখালির ব্লক সভাপতি শেখ শাহজাহান এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা, হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরোজ কামাল গাজী, সংখ্যালঘু তৃণমূলের সিদ্দিক মোল্লা সহ বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সদস্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই মঞ্চে বিজেপির প্রাক্তন প্রধান উপপ্রধান, নেতাকর্মী ও সিপিএমের কিছু কর্মীসহ মোট ২০০০ নবাগত তৃণমূলীদের হাতে তৃণমূল দলের পতাকা তুলে দেওয়া হল। বিজেপি কর্মীদের এভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল দলে চলে আসার পর সন্দেশখালির প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী প্রীতিলতা মন্ডল ও শিবানী রপ্তান জানিয়েছেন যে, বিজেপি দলে নিম্নস্তরীয় সদস্যদের যথাযোগ্য সম্মান দেয়া হয় না।

প্রসঙ্গত বিজেপি দল ছেড়ে চলে আসবার পর পুরনো দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল বহু বিজেপি কর্মীদের। তাদের এই দলবদলের কারণ প্রসঙ্গে তারা জানিয়েছেন, “ ক্ষমতায় আসার আগেই ওই দল দুর্নীতিতে জড়িয়ে গেছে। আমরা কোনও কাজ করতে পারছিলাম না। কাউকে বলতে পারছিলাম না। দলের স্বজনপোষণের এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, কিছু বললেই ভয় দেখানো হচ্ছিল। এমনকী অনেক বিজেপি নেতারা ধর্ষণের মতো অপরাধে সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। ”

এভাবে নিজেদের পুরোনো দলের বিরুদ্ধে বিষেদাগার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন নবাগত তৃণমূলীরা। এ প্রসঙ্গে তারা জানালেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবন সহ সমগ্র রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলগুলিতে যেভাবে বিদ্যুৎ, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, পাকা রাস্তা, পাকা বাড়ি প্রকৃতি মানুষের নিকট পৌঁছে দিতে পেরেছেন তা এককথায় অতুলনীয়। তাই শাসকদলের হাত ধরে রাজ্যের উন্নয়ন যজ্ঞের শরিক হতে এবং মানুষের পাশে দাঁড়াতেই তাঁরা বিজেপি দল ত্যাগ করে তৃণমূল দলভুক্ত হয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!