এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বীরভূমের বড় নেতাকে খুন করতে মেদিনীপুর থেকে সুপারি বাংলাদেশের ৪ কনট্র্যাক্ট কিলারকে! তারপর?

বীরভূমের বড় নেতাকে খুন করতে মেদিনীপুর থেকে সুপারি বাংলাদেশের ৪ কনট্র্যাক্ট কিলারকে! তারপর?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বীরভূম জেলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা কারো কাছেই অজানা নয়। এই জেলায় শেষ কথা বলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মাঝেমধ্যেই বিরোধীদের অভিযোগ থাকে, গুড় বাতাসা থেকে শুরু করে চড়াম চড়াম ঢাকের মধ্যে দিয়ে নিজের বক্তব্য রেখে অনুব্রতবাবু সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছেন গোটা জেলা জুড়ে। তবে বীরভূম জেলার সর্বেসর্বা সেই অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য প্রতিটি সভা থেকেই বলে থাকেন নিজের জেলায় কোন অশান্তি বরদাস্ত করবেন না তিনি।

কোনো অন্যায় যে তিনি সহজে মেনে নেবেন না তাও দলীয় সভা থেকে শুরু করে এমনি জনসভায় স্পষ্ট করেন সেই অনুব্রত মণ্ডল। আর এবার সেই বীরভূম জেলারই কোনো এক বড় নেতাকে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠতে শুরু করল। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলাজুড়ে। একাংশ বলছেন, বীরভূমের মত জেলায় এই ধরনের ঘটনা সত্যিই বহুগুণে আতঙ্ককে বাড়িয়ে দিল।

সূত্রের খবর, বীরভূম জেলার এক নেতাকে খুনের পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশী চার সুপারি কিলারের। তবে এই ঘটনা ঘটানোর আগেই বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রচুর সংখ্যক বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। অনেকে বলছেন, স্থানীয় বেশকিছু ব্যাক্তির সাহায্য নিয়ে চার দুস্কৃতী রাজ্যে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে বীরভূমের শান্তিনিকেতনে গা ঢাকা দেয় তারা। যার ফলে এই চার দুষ্কৃতী বীরভূম জেলায় বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল প্রশাসন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে সেই সমস্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মূলত কিভাবে 4 বাংলাদেশি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করল, তা নিয়ে তদন্তকারীদের মনে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে বীরভূমের মত জেলায় যে ঘটনা প্রকাশ্যে এলো তা নিঃসন্দেহে বড় রকমের গুঞ্জন তৈরি করল গোটা রাজ্যে। পুলিশের একাংশ বলছেন, মেদিনীপুর জেলার এক বন্দী নেতা খুনে সুপারি দেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসতে শুরু করেছে। স্বভাবতই এই ঘটনায় আরও বড় কারো নাম উঠে আসতে পারে বলে খবর।

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, গত পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থান ছিল চোখে পড়ার মত। সেদিক থেকে বীরভূমের মত জেলায় এক বড় নেতাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করার যে চক্রান্তের অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে, তাতে এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে কিনা, তা নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গুঞ্জন। অন্যদিকে মেদিনীপুরের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত ঘোরালো। সেদিক থেকে মেদিনীপুরের জেলবন্দি এক নেতার কথা উঠে আসায় চাঞ্চল্য ক্রমশ বাড়ছে।

তাই এখন নানা মহলে জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছে, কে বা কারা কাকে মারতে এই ধরনের ঘটনা ঘটালো! তাহলে কি এর পেছনে বড়সড় চক্রান্ত কাজ করছে? অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকায় আগামীদিনে পরিস্থিতির আরও পরিবর্তন হতে পারে। আরও ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে অবস্থা। সব মিলিয়ে বীরভূমের এক বড় নেতাকে বাংলাদেশের চার সুপারি কিলারের খুন করার চক্রান্তের তথ্য সামনে আসতেই তাদের জেরা প্রক্রিয়া শুরু করে দিল পুলিশ। এখন পুলিশি তদন্তে এই ব্যাপারে কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!