এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যে আবার ঘুড়ে দাঁড়াতে আলিমুদ্দিনের ভরসা ‘ব্র্যান্ড বুদ্ধ’! সফলতা নিয়ে সংশয়ে বামপন্থীরাই

রাজ্যে আবার ঘুড়ে দাঁড়াতে আলিমুদ্দিনের ভরসা ‘ব্র্যান্ড বুদ্ধ’! সফলতা নিয়ে সংশয়ে বামপন্থীরাই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাতে বেশি সময় নেই। 2021 এ রাজ্যে ফের বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ক্ষমতা দখল করতে এবং তৃণমূলকে সরাতে গেরুয়া শিবির তাদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তবে একসময় রাজ্যের 34 বছর ক্ষমতায় থাকার বামফ্রন্ট এবার একদিকে তৃণমূল এবং অন্যদিকে বিজেপিকে কুপোকাত করতে ময়দানে নেমে পড়ল।

যেখানে রাজ্যে প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি দিনকে কাজে লাগিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পথকে অনুসরণ করার কথাই শোনা গেল সিপিএম নেতৃত্বের গলায়। শারিরীক অসুস্থতার জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু একুশে জুন রাজ্যে প্রথম সিপিএমের সরকার প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তিকে কাজে লাগিয়ে সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কথাই মনে করল কাস্তে-হাতুড়ি শিবির।

মূলত তাঁর শিল্পনীতি সঠিক ছিল বলে এদিন আওয়াজ তোলা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 43 বছর আগে একুশে জুন প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। আর তাই আগামী 2021 এ এই একুশে জুন নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে “বেঙ্গল নিডস লেফট” শীর্ষক প্রচারে সক্রিয় হল সিপিএম। যার মাধ্যমে রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার থাকার সময় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা থেকে শুরু করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, ভূমি সংস্কার সহ একাধিক বিষয়ে তাদের কাজের কথা তুলে ধরা হয়। আর দফায় দফায় বর্তমানে রাজ্যের শিল্প হচ্ছে না বলে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শিল্পনীতির কথা তুলে ধরছে সিপিএম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সিপিএম নেতৃত্বের এই বক্তব্য থেকেই কার্যত স্পষ্ট যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তারা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিভিন্ন নীতির প্রশংসা করেই তৃণমূল সরকারকে চাপে ফেলতে উদ্যোগী হবে। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “শিল্পায়নের পথে না গেলে কৃষিতে বৃদ্ধির হার ধরে রাখা যেত না। সেই সময়ে কৃষির সঙ্গে শিল্পের বিরোধ দেখানোর চেষ্টা হয়েছিল।

কিন্তু যারা তা করেছিলেন, তাদের অনেকেই এখন বুঝছেন, শিল্পায়ন কতটা জরুরি ছিল।” তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন এই লাইভ অনুষ্ঠানে সিপিএমের দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা সম্পাদক শমিক লাহিড়ী প্রশ্ন তোলেন, পুরনো চেহারায় আবার কি বামফ্রন্টের ফিরে আসা সম্ভব! আর তার প্রশ্নের উত্তরেই সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “কোনো কিছুই আর অবিকল আগের চেহারায় ফিরে না।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2011 সালে সিপিএম ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর যত দিন গিয়েছে, তারা একের পর এক নির্বাচনে রাজ্যের পর্যুদস্ত হয়েছে। 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে তাদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলের জায়গা দখল করে নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই একদিকে তৃণমূল এবং অন্যদিকে বিজেপির মধ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মূল লড়াই হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

এমত পরিস্থিতিতে নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে এবার ময়দানে নেমে পড়ল সিপিএম নেতৃত্ব। যেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শিল্পনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভাবে যে তারা প্রচারে নামবে, তা সিপিএম নেতৃত্বের কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে দলের সংগঠন ও জনমানসে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সিপিএমের এই উদ্যোগ কতটা সফলতা লাভ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!