এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ? ত্রিপুরাতে সংগঠন গড়তে গিয়ে চাপে তৃণমূল!

ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ? ত্রিপুরাতে সংগঠন গড়তে গিয়ে চাপে তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরা নিয়ে সবথেকে বেশি তৎপরতা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। সেই মতো করে ত্রিপুরাতে পৌঁছে গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের টিমের 23 জন সদস্য। তবে তাদের আটক করা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে শুরু করে আরও অনেক হেভিওয়েট সেই ত্রিপুরাতে গিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন। যা বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

তবে এবার সেই ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধেই সরব হতে দেখা গেল ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাংশকে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ত্রিপুরা জুড়ে। যেখানে সংগঠন চাঙ্গা করতে ব্রাত্য বসু থেকে শুরু করে বিশ্বস্ত সৈনিকদের পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে ব্রাত্যবাবুর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠার কারণে এখন রীতিমত চাপের মুখে ঘাসফুল শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় বিজেপি যে বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিন্তু কেন তৃণমূল নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে এইরকম অভিযোগ করা হল? জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ত্রিপুরার তৃণমূলের 50 জন নেতা বৈঠক করার কথা বলেন। কিন্তু প্রথমে সেই বৈঠকের জন্য আগরতলার একটি হোটেল স্থির হলেও, পরবর্তীতে সেই বৈঠকের জায়গা পরিবর্তন হয়। যেখানে জানা যায়, কৃষ্ণনগরের সৎসঙ্গ আশ্রমের কাছে অজয় পাল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সেই বৈঠক হবে। আর তারপরেই তৃণমূলের নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, অজয় পাল বিজেপির সমর্থক বলে পরিচিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেদিক থেকে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী কেন তার বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করবেন, তা নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। ব্রাত্য বসু থেকে শুরু করে কিছুদিন আগেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুলবাবুর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলতে শুরু করেন তৃণমূলের একাংশ। যার ফলে ত্রিপুরাতে সংগঠন গড়ার জন্য বিজেপিকে চাপে রাখার চেষ্টা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে করা হলেও, যেভাবে এখানে ব্যাকফুটে পড়ে গেল তৃণমূল নেতৃত্ব, তাতে আগামী দিন যে ত্রিপুরা তাদের কাছে বড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের একাংশ বলেন, “আগরতলার তৃণমূলের নেতা কর্মীরা কোনোমতেই অজয় পালের বাড়িতে বৈঠক করতে যাবেন না। আর মুকুল রায়, ব্রাত্য বসুরা যা বলবেন, তা মেনে নেওয়া হবে না। অজয় পালের বাড়িতে বৈঠক হলে তার সমস্ত খবর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে যাবে। বিজেপির দূত হিসেবে কাজ করার জন্যই অজয় পাল তৃণমূলে আসতে চাইছেন।” অর্থাৎ ব্রাত্য বসুরা বিজেপির ওপর চাপ সৃষ্টি করে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে বৈঠক করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের নেতা কর্মীদের একাংশের।

আর সেই কারণেই তারা সোচ্চার হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। যার ফলে ত্রিপুরাতে সংগঠন গড়তে উদ্যোগী হওয়া তৃণমূল নেতৃত্ব যে প্রথম ধাপেই বড়সড় চাপের মুখে পড়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে দলের নেতা কর্মীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকেন কিনা ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের অন্যান্য নেতা নেত্রীরা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!