প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় তিন মাস আগে বাগুইআটির ওল্ড ক্যানাল রোডের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন সুইটি কউর ও সৌরভ চক্রবর্তী। এই যুবক-যুবতী দ্বয় নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়েই এই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল। পাঞ্জাবের বাসিন্দা সুইটি কউর পেশায় একজন বার ড্যান্সার। গত ৩১ সে ডিসেম্বর শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল সুইটিকে। তারপর থেকেই তার দেখা পান নি তাঁর বাড়িওয়ালা ও প্রতিবেশীরা।

গতকাল তাঁর ঘর থেকে বের হতে শুরু করে তীব্র দুর্গন্ধ। আতঙ্কিত হয়ে তাঁর বাড়ির মালিক পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ এসে তালা ভেঙে উদ্ধার করে সুইটি কউরের মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুইটি কউরের দেহে বা মুখে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে, তাঁর মুখে বালিশ চাপা দেওয়া ছিল। নাকের পাশে ছিল রক্তের দাগ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বালিশ চাপা দিয়ে দম বন্ধ করে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে।

এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ির ঠিকানা খুঁজে বের করে সেখানে খবর দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। আর এই ঘটনার পর থেকেই তার সঙ্গী সৌরভ চক্রবর্তী বেপাত্তা। তার খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান এই সৌরভ চক্রবর্তীই সুইটিকে খুন করে গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে হত্যা করা হতে পারে সুইটিকে, এমনটাই পুলিশের অনুমান। সবকিছু নিয়েই তদন্ত করছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।

অন্যদিকে, সুইটি ও সৌরভের বাড়ির মালিকের স্ত্রী আভা মন্ডল এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, সন্দেহভাজন সৌরভ চক্রবর্তী তার এক বন্ধুর কাছে এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। সেই সূত্রে খবর পেয়ে এলাকায় এসে তার খোঁজ করতে শুরু করেছে পুলিশ। তবে, এখনো পর্যন্ত তাকে খুঁজে পায়নি বাগুইআটি থানার পুলিশ।