এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > Breaking News, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরব হলেন এই কর্মীরা, ভোটের আগে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে সরকারের!

Breaking News, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরব হলেন এই কর্মীরা, ভোটের আগে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে সরকারের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন রাজ্যের একাধিক মাদ্রাসা শিক্ষক। তাঁদের এই পদক্ষেপে নির্বাচনের মুখে প্রবল অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। মাদ্রাসা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে একাধিক বিরোধী নেতৃত্বকে। এবার এই পরিস্থিতিতে আজ অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন রাজ্যের একাধিক হাসপাতাল কর্মী।

আজ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাসপাতালের ইআরএস কর্মীরা। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ইআরএস কর্মীদের সংখ্যা ৩ হাজারেরও বেশি। প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতালে ইআরএস কর্মীসংখ্যা ৯০০ – ৯৫০ জন। আজ তাঁরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইআরএস কর্মীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৭,১৮ বছর ধরে তাদের কোনো বেতন বৃদ্ধি ঘটে নি। তাঁরা সর্বদা রোগীর সেবা করছেন, রোগীদের সুস্থ করে তুলতে সবসময় নিরলস পরিশ্রম করছেন, পরিষেবা দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের বেতন খুব কম। ইআরএস কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, পিএফ কেটে নেওয়ার পর, এসআই কেটে নেবার পর তারা ২৬ দিনের বেতন হিসেবে হাতে পান ৭৩৪৯ টাকা। এই অর্থে তাঁদের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ইআরএস কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, সমস্ত বিভাগের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু তাদের কোনো বেতন বৃদ্ধি ঘটে নি। গত ২৭ সে ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তবে, তাঁরা পরিষেবা বন্ধ করতে চান না। কাজ বন্ধ করে দিলে বিপাকে পড়বেন রোগীরা তাঁরা জানিয়েছেন।

গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কর্মীরা। কোন কোন প্ল্যাকার্ডে দেখা যাচ্ছে যে, তাঁরা করোনার প্রথম সারির যোদ্ধা হলেও সর্বনিম্ন বেতন পাচ্ছেন তাঁরা। কোথাও লেখা আছে, করোনা বিশ্ব মহামারীতে তাঁদের মতো যোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিষেবা দিচ্ছেন হাসপাতলে, কিন্তু বেতন পাচ্ছেন সর্বনিম্ন। কেন তাঁরা শ্রম দপ্তরের কর্মী, হাসপাতালে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী কেন করা হয়নি? একটি প্ল্যাকার্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে, স্বল্প বেতনে তাঁরা সংসার প্রতিপালনে অক্ষম হয়ে পড়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বাঁচান। তাঁরা আশা করছেন যে, তাঁদের সমস্যার দ্রুত সমাধান করবে স্বাস্থ্য দপ্তর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!