এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > Breaking News, বিশেষ দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল

Breaking News, বিশেষ দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনকে অবাধ, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ রাখা নির্বাচন কমিশনের কাছে বিশেষ চ্যালেঞ্জ। বিগত বেশ কিছু নির্বাচনে বারবার গন্ডগোল, সংঘর্ষের ঘটনা দেখা গেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ রাখতে আজ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের অফিসে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রমুখরা।

নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তার দাবী জানিয়েছেন তাঁরা। এরপর বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, বহিরাগত দুষ্কৃতীতে ভরে গেছে নন্দীগ্রাম। আগামী পয়লা এপ্রিল নির্বাচন রয়েছে সেখানে। সেদিন অশান্তি বাঁধাতে পারে বিজেপি। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের কাছে এমন খবরও এসেছে, বলে তাঁদের দাবি। আজ সিইও আরিজ আফতাবকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূলের এই দুই সাংসদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানিয়েছেন যে, তাঁদের কাছে খবর আছে যে, নন্দীগ্রামে ব্যাপক অশান্তি করবে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের দিনে সেখানে ব্যাপক অশান্তি বাধাবে বিজেপি। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে বড় ধরনের অশান্তি করতে পারে বিজেপি। এই কেন্দ্রগুলো হলো ভগবানপুর, পটাশপুর, খেজুরি, এগরা। খেজুরির তৃণমূল প্রার্থী আক্রান্তও হয়েছেন। নন্দীগ্রামে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের আনা হয়েছে। যারা ভোট লুট করার চক্রান্ত করছে।

এই বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিও একাধিক অভিযোগ করতে দেখা গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিক মত কাজ করছে না। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিকমতো কাজ করতো, তাহলে নন্দীগ্রামে এত দুষ্কৃতী কখনোই আসতে পারত না। তৃণমূলের একাধিক অভিযোগ করার পর, এ বিষয়ে পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

তৃণমূলের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, দুষ্কৃতীরা যদি নন্দীগ্রামে ঢুকে থাকে, তবে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা তার ছবি তুলে দেখান, মিথ্যে অভিযোগ কেন করছেন তাঁরা? রাজ্যের মানুষ সমস্ত কিছুই জানেন। অতীতে নির্বাচনে বিরোধীরা কিভাবে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন? তা সকলেই জানেন। তিনি জানালেন, সংবাদমাধ্যমের বহু কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। এখন তৃণমূল নেতা নেত্রীরা কি করে এসব কথা বলছেন? প্রশ্ন করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে ভোট লুঠ, বুথ দখল ইত্যাদি অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে একাধিকবার বিরোধী শিবিরকে যেতে দেখা গেলেও, শাসক শিবিরকে কখনোই এ ধরনের কাজ করতে দেখা যায়নি। তাই আজ তৃণমূল যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা নজিরবিহীন বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!