প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি এই মুহূর্তে চরম আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিত্যদিন বেড়েই চলেছে। এতদিন পর্যন্ত যে অঞ্চল গুলি বিপদসীমার বাইরে ছিল সেগুলো এখন করোনার নিরিখে বিপদসীমার অন্দরে প্রবেশ করেছে। এই অবস্থায় শাসকদলের চিন্তা বাড়াচ্ছে আবার অন্য একটি ব্যাপার। এই মুহূর্তে শাসকদলের মন্ত্রী থেকে কর্মী একের পর এক দলের লোকজন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি খবর পাওয়া গিয়েছিল পানিহাটি তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের কনিষ্ঠ পুত্র করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আজকে নতুন করে আশঙ্কা জাগিয়ে খবর প্রকাশ পেয়েছে, এবার পানিহাটি তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ করোনা পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন। ঘটনায় এই মুহূর্তে শাসক শিবিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্মল ঘোষকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এই মুহূর্তে।

জানা যাচ্ছে, তাঁর ছেলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর পরিবারের প্রত্যেকের করোনা টেস্ট হয়। সেখানে অন্যান্যদের নেগেটিভ রেজাল্ট আসলেও নির্মল ঘোষ এর রেজাল্ট পজিটিভ আসে। রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত নাহলে করোনা থেকে সুস্হ হয়ে উঠেছেন সম্প্রতি। যেমন ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বোস করোনার হাত থেকে সুস্থ হয়ে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বিধায়ক নির্মল ঘোষ এর পুত্র তীর্থঙ্কর ঘোষ সম্প্রতি আমফান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়েছিলেন। তাঁর সাথে নৈহাটি, ব্যারাকপুর, বারাসাত, পানিহাটি এলাকার তৃণমূলের বহু যুব নেতা গিয়েছিলেন বলে খবর। ত্রাণ দিয়ে ফিরে আসার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তীর্থঙ্কর। আর সেটাই আশঙ্কা জাগাচ্ছে সবার মনে। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এই মুহূর্তে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, তীর্থঙ্কর ঘোষের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন! তাঁদেরকেও করোনা টেস্ট করানো হতে পারে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, এই মুহূর্তে রাজ্যবাসী করোনা আক্রান্তের কারণে রীতিমতো তটস্থ হয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু আনলক ওয়ান শুরু হওয়ার পর থেকেই সংক্রমণ বেড়ে চলেছে ক্রমাগত। এই নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আনলক ওয়ান শুরু হওয়ার কারণে লকডাউন এর গুরুত্ব কিন্তু ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ আনলক ওয়ান পালন করতে গিয়ে লকডাউন এর গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না বলে মনে করছেন তাঁরা। ফলস্বরূপ, প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য সরকার এবার নতুন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকে লক্ষ্য থাকবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের।