এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > Breaking News, দিল্লির সীমান্তে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষ আন্দোলনরত কৃষকদের

Breaking News, দিল্লির সীমান্তে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষ আন্দোলনরত কৃষকদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবার রনক্ষেত্র কৃষি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। আজ সিঙ্ঘু সীমান্তে প্রবল অশান্তি বাঁধলো আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষদের। আজ দুপুরে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দার প্রথমে বচসা, পরে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হলো। পরিস্থিতি এমন আকার ধারণ করে যে, সংঘর্ষ মেটাতে শেষ পর্যন্ত পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয়। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রায় দু’মাস সিঙ্ঘু সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন বহু কৃষক।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আন্দোলনরত কৃষকেরা মাসের পর মাস ধরে রাস্তা দখল করে রেখেছেন। দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দখল থাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাদের যেমন ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে, তেমনি রুজি-রোজগারে টান পরেও সমস্যা বাড়ছে তাদের। আজ সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের তাঁবুর পাশে উপস্থিত হয়েছিলেন বেশকিছু স্থানীয় মানুষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্থানীয় মানুষেরা প্রথমে কৃষকদের জায়গা ছেড়ে চলে যাবার কথা বলেন। এরপর তাঁরা কৃষকদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর দুপক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়। যা ক্রমশ তীব্র সংঘর্ষের রূপ নেয়। কৃষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাদের তাঁবু লক্ষ করে ইট, পাথর ছোড়া হয়েছে। তাদের তাঁবুতেও ভাংচুর চালানো হয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, জনৈক বিজেপি বিধায়কের লোকজন তাদের বিরুদ্ধে এমন হামলা চালিয়েছে।

শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ব্যবহার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় তলোয়ারের আঘাতে আহত হয়েছেন জনৈক পুলিশকর্মী। অন্যদিকে, গাজীপুর সীমানা থেকে কৃষকদের উঠে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

তবে, এরপরও গাজীপুরের মিরাট- দিল্লী রাজপথে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অসংখ্য কৃষক। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে গাজীপুর সীমানায় পুলিশ ফোর্সকে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাফ বাহিনীকে আগামী ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি বিক্ষোভকারীরা রাস্তা না ছাড়েন, তবে বড়োসড়ো পদক্ষেপ নিতে পারে পুলিশ ও প্রশাসন। তবে, বিক্ষোভকারীরা তাঁদের দাবিতে অনড়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!